পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাকা \:)(: চাদের আলো চাইবে রাতে বনছায়ার পানে বেদনভরা শুধু চোখের গানে। মিলব তখন বিশ্বমাঝে আমরা দোহে একা, যেন নূতন দেখা । তখন আমার অঙ্গ ভরি নূতন বসনখানি পাড়ে পাড়ে ভঁাজে ভঁাজে করবে কানাকানি । ওগো, আমার হৃদয় যেন সন্ধ্যারি আকাশ, রঙের নেশায় মেটে না তার আশ, তাই তো বসন রাঙিয়ে পরি কখনো বা ধানী, কখনো জাফরানী, আজ তোরা দেখ চেয়ে আমার নূতন বসনখানি বৃষ্টি-ধোওয়া আকাশ যেন নবীন আসমানী। অকুলের এই বর্ণ, এ-যে দিশাহারার নীল, অন্য পারের বনের সাথে মিল । আজকে আমার সকল দেহে বইছে দূরের হাওয়৷ সাগরপানে ধাওয়া । আজকে আমার অঙ্গে আনে নূতন কাপড়খানি বৃষ্টিভরা ঈশান কোণের নব মেঘের বাণী । ১২ অগ্রহায়ণ ১৩২২ পদ্মা ᏬᎽ যেদিন উদিলে তুমি, বিশ্বকবি, দূর সিন্ধুপারে, ইংলণ্ডের দিকপ্রান্ত পেয়েছিল সেদিন তোমারে আপন বক্ষের কাছে, ভেবেছিল বুঝি তারি তুমি কেবল আপন ধন ; উজ্জল ললাট তব চুমি’