পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s१४ রবীন্দ্র-রচনাবলী শিরে লয়ে জ্যোৎস্নালোকে মন্থণ চিক্কণ রাশি রাশি অন্ধকার পল্লবের ভার স্তম্ভিত অটবী । সেইমতে চিত্রাপিত দাড়াইয়া দীর্ঘকায় বনস্পতিসম, দণ্ডধারী ব্রহ্মচারী ছায়াসহচর । প্রথম সে-নিদ্রাভঙ্গে চারিদিক চেয়ে মনে হল, কবে কোন বিস্মৃত প্রদোষে জীবন ত্যজিয়া, স্ব প্রজন্ম লভিয়াছি কোন এক অপরূপ মোহনিদ্রালোকে, জনশূন্ত মানজ্যোংক্ষা বৈতরণীতীরে । দাড়ামু উঠিয়া । মিথ্যা শরম সংকোচ খসিয়া পড়িল শ্লথ বসনের মতো পদতলে । শুনিলাম, “প্রিয়ে, প্রিয়তমে।” গম্ভীর আহবানে, মোর এক দেহমাঝে জন্ম জন্ম শত জন্ম উঠিল জাগিয়া । কহিলাম, "লহ, লহ, যাহা কিছু আছে नद लट् छौवनवल्लङ ।” फूझे वांछ् দিলাম বাড়ায়ে — চন্দ্র অস্ত গেল বনে, অন্ধকারে ঝাপিল মেদিনী । স্বর্গমর্ত্য দেশকাল দুঃখস্থখ জীবন-মরণ অচেতন হয়ে গেল অসহ পুলকে । প্রভাতের প্রথম কিরণে, বিহঙ্গের প্রথম সংগীতে, বাম করে দিয়া ভর ধীরে ধীরে শয্যাতলে উঠিয়া বসিতু । দেখিছু চাহিয়া, মুখস্থপ্ত বীরবর। শ্রান্ত হাস্ত লেগে আছে ওষ্ঠপ্রান্তে র্তার প্রভাতের চন্দ্রকলাসম, রজনীর আনন্দের শীর্ণ অবশেষ । নিপতিত