S & 8 রবীন্দ্র-রচনাবলী মাঙ্গলিক প্রাণের পাথেয় তব পূর্ণ হ’ক হে শিশু চিরায়ু, বিশ্বের প্রসাদম্পর্শে শক্তি দিক সুধাসিক্ত বায়ু। হে বালকবৃক্ষ, তব উজ্জল কোমল কিশলয় আলোক করিয়৷ পান ভাণ্ডারেতে করুক সঞ্চয় প্রচ্ছন্ন প্রশান্ত তেজ । লয়ে তব কল্যাণকামনা শ্রাবণবৰ্ষণযজ্ঞে তোমারে করিমু অভ্যর্থনা — থাকে প্রতিবেশী হয়ে, আমাদের বন্ধু হয়ে থাকো। মোদের প্রাঙ্গণে ফেলো ছায়া, পথের কঙ্কর ঢাকো কুস্থমবর্ষণে ; আমাদের বৈতালিক বিহঙ্গমে শাখায় আশ্রয় দিয়ে ; বর্ষে বর্ষে পুষ্পিত উদ্যমে অভিনন্দনের গন্ধ মিলাইয়ো বর্ষাগীতিকায়, সন্ধ্যাবন্দনার গানে। মোদের নিকুঞ্জবীথিকায় মঞ্জুল মর্মরে তব ধরিত্রীর অন্তঃপুর হতে প্রাণমাতৃকার মন্ত্র উচ্ছ্বসিবে স্বর্ষের আলোতে। শত বর্ষ হবে গত, রেখে যাব আমাদের প্রীতি খামল লাবণ্যে তব। সে যুগের নূতন অতিথি বসিবে তোমার ছায়ে । সেদিন বর্ষণমহোৎসবে আমাদের নিমন্ত্রণ পাঠাইয়ো তোমার সৌরভে দিকে দিকে বিশ্বজনে। আজি এই আনন্দের দিন তোমার পল্লবপুঞ্জে পুষ্পে তব হ’ক মৃত্যুহীন। রবীন্দ্রের কণ্ঠ হতে এ সংগীত তোমার মঙ্গলে মিলিল মেঘের মন্দ্রে, মিলিল কদম্বপরিমলে ।
