পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›brዓ ব্যবসায়ে বাঙালী আর বাঙালীরা ভেজাল ঘি খাইয়া স্বাস্থ্য নষ্ট করিতেছে। আচাৰ্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় "খাদি প্রতিষ্ঠান’ ও ‘আচাৰ্য্য ডেয়রী সাপ্লাই কোংকে নানাভাবে সাহায্য করিয়া এই প্রতিষ্ঠান দুইটিকে গড়িয়া তুলিবার চেষ্টায় আছেন। ‘আচার্য্য ডেয়ুরী সাপ্লাই কোং’ পশ্চিম দেশে কোন কোন স্থানে “ক্রীম অপারেটর” মেশিম বসাইয়া কাচ দুধ হইতে মাখন প্রস্তুত করিয়া ঘির ব্যবসা করেন । কিন্তু বাজারের চাহিদা অনুসারে আমদানির ক্ষমতা নাই । গব্য ঘৃত্ত—গব্য স্কৃতও বাংলায় কম বিক্রয় হয় না। কিন্তু ইহার দরও যেমন বেশী, ইহার বিশুদ্ধতা সম্বন্ধেও তেমনি অনেকে সন্দিহান। বাংলার যুবক-সম্প্রদায় উক্ত "ক্রীম অপারেটার” মেশিন লইয়া পল্লী-অঞ্চলের যে সমস্ত স্থানে প্রচুর পরিমাণে গো-দুগ্ধ আমদানী হয়, তথায় এই কাজ চলে কিনা যদি পরীক্ষা করিয়া দেখেন, আমার মনে হয় হয়তো তাহারা সফলতা লাভ করিবেন। দুগ্ধে জল মিশ্রিত কিনা, তাহা দেখার দরকার নাই। দুগ্ধ-বিক্রেতার মেশিনে দুগ্ধ ঢালিলে মেশিন ঘুরাইয়া যে পরিমাণ ক্রীম প্রস্তুত হইতে দেখা যাইবে, ক্রেতা ও বিক্রেতার লোকসান না হয় এমন ভাবে সেই ক্রীমের মূল্য নিৰ্দ্ধারণ করিয়া উহা হইতে ঘৃত প্রস্তুত করিয়া বাজারে যদি খাটী জিনিস দেওয়া যায়, তাহা হইলে হয়তো বাংলার একটা সমস্ত সমাধান হইতে পারে। দুধ হইতে মাখন উঠিয়া গেলে ঐ দুগ্ধে ছানা, ক্ষেয়াক্ষীর, দধি প্রস্তুত হইতে পারে। তবে তাহাতে কোন অস্বিাদ থাকে না । ইউরোপে হইলে হয়তো মাখনতোলা দুগ্ধ হইতে “স্বগার অব মিত্ব • প্রস্তুত হইত। জাম-কাপড়ের ব্যবসা—বৰ্ত্তমানে এই ব্যবসার সংখ্যা সহরাঞ্চলে প্রয়োজনাতিরিক্ত হইয় পড়িয়াছে। অল্প মূলধনে ক্ষুদ্রভাবে এই ব্যবসায়ে কিছুই হয় না। জামা-কাপড়ের বৈচিত্র্য (variety)