পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

盘 ব্যবসায়ে বাঙাল্পী বুঝাইয়'স্বৰাইয়া উহাকে নিরস্ত করি। পর বৎসর যাহা লাভ হইল তাহাতে লোকসানতে পূরণ হইয়া গেলই, তাহার উপরে আরও চারি হাজার টাকা লাভ হয়। তখন আমার অংশীদারের উৎসাহের আর অবধি নাই—তিনি স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া আরও মূলধন প্রদান করিলেন। অনভিজ্ঞতার জন্য যদি কোন কাজে প্রথমাবস্থায় লোকসানই দিতে হয়, তবে হাল ছাড়িষা দিতে নাই। লোকসান দিয়া যে অভিজ্ঞতাটুকু সঞ্চয় হইল, ভাবী সফলতার পক্ষে এটি পরম সম্পদ হইয়া রহিল। ঐ অভিজ্ঞতা কাজে লাগাইয়া ভবিষ্যতে উক্ত ব্যবসায়ে উন্নতি করা অসম্ভব নহে। চাই নিজের একটা আন্তরিক জিদ। ব্যবসায়ে লোকসান দিয়া হাত-পা ছাড়িয়া দিলে চলিবে না। অনেকে প্রশ্ন করিতে পারেন “প্রথমেই যদি লোকসান দিই আর তাহাতে মূলধন নষ্ট হইয়া যায়, তবে আবার কি লইয়া পুনরায় কারবার চালাইব ?” উত্তর—ব্যবসায়ে লোকসান হইলে, কেন এই লোকসান হইল, এবং কি উপায় অবলম্বন করিলে অবস্থার উন্নতি করা যাইবে,—লোকসানের ফলে যদি এই অভিজ্ঞতা লাভ হয়, তবে সে ব্যবসায়ী তখন হয় ধার করিয়া কিংবা ধনী অংশীদার সংগ্ৰহ করিয়া উক্ত ব্যবসা পুনরায় চালাইতে সক্ষম হয়েন। কিন্তু ব্যবসায়ীকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও পরিশ্রমী হইতে হইবে। অ-বাঙালী ব্যবসাজি-সম্প্রদণক্স ' সেন্টাল এভিনিউ ও বড়বাজারে অ-বাঙালীদের অট্টালিকার দিকে একবার চাহিয়া দেখুন—বাংলাদেশ যেন বিকানীরের রাজধানী ! আমড়াতলার গুজরাট, কাচ্ছি মুসলমান ব্যবসায়ীদিগের এক একজনের ৪৫ কোটা টাকা মূলধনের কথা শুনিলে মনে হয় বুঝি রূপকথার কাহিনী! এই ষে টাকা—অঙ্ক পাতিলে যাহা শিলেটের দৈর্ঘ্য ছাড়াইয়া যায়-এই বাংলাদেশে ব্যবসায় করিয়াই, ইহারা অর্জন করিয়াছেন ।