পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫెx&3 যুদ্ধবিদ্যা শিখিবার অন্য উপায় নাই। যদি কেহ বলেন, ভারতীয় সৈন্যদল ইতুজের অধীন, অতএব তাহাতে ঢুকিয় যুদ্ধৱিষ্ঠা শিখিব না, দেশ স্বাধীন হইবার পর যুদ্ধবিদ্যা শিখিব ও দেশরক্ষায় সমর্থ হইব, তাহা হইলে তাহাকে প্রশ্ন করা যাইতে পারে, “স্বাধীন ভারতে আপনার যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী হইবার পূর্বেই—কারণ শিখিতে সময় লাগিবে—যদি কোন ষিদেশী জাতি ভারত আক্রমণ করে, তাহা হইলে দেশরক্ষার কি বাবস্থা করিকেন ?” আমরা পুনর্বার বলিতেছি, ভারতবর্ষকে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ব্রিটেনের কোন যুদ্ধে টানিয়া লইয়া যাওয়া উচিত নহে। কিন্তু, যুদ্ধবিদ্য ভারতীয়দের শিক্ষা করা আবশ্বক ও উচিত, না, অনাবশ্বক ও অনুচিত ? আবখ্যক ও উচিত হইলে, ভারতীয় সৈন্যদলে না গিয় তাহা শিখিবার কি উপায় আছে ? ভারতীয় সৈন্যদলে যাইব অথচ গবন্মেন্টের হুকুমে ব্রিটেনের যুদ্ধে যোগ দিব না, বর্তমানতাইনবিরুস্ক এরূপ আচরণ চলিতে পারে কি না ?-ইত্যাদি নানা প্রশ্ন উঠে । তদ্বিষয়ে চিন্তা করা আবশুক । বাঙালী মুসলমানদের একতা অমুসলমানদের এইরূপ একটা ধারণা থাকিতে পারে, যে, মুসলমানদের মধ্যে খুব ঐক্য আছে । হয়ত হিন্দুদের চেয়ে তাহাদের মধ্যে ঐক্য বেশী, এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে কিছু করিতে হক্টলে ইণহাদের প্রায় সবাই একমত ইহাও সত্য হক্টতে পারে। কিন্তু উপহাদের মধ্যে দলাদলি আছে দেখিতেছি, এবং মুসলমানদের মুখেই তাহ শুনিয়াছি। আমরা তাহীদের একত চাই । যদি তাহার একমত হঠয়া দেশহিতকল্পে হিন্দুদের সহিত যোগ দেন, তাক তইলে ত খুবই ভাল । কিন্তু যদি তাহ ন-করেন, তাহ হইলেও র্তাহীদের ঐক্য বাঞ্ছনীয়। কারণ একতা শক্তির জননী, এবং মাতুষকে হিতসাপনে সমর্থ করে । ভ{ ছাড়া, যদি হিন্দুদের মুসলমানদের সহিত কোন কারণে কোন কথাবার্তা চালাইতে হয়, তাহ হইলে একদলভুক্ত মুসলমানদের সহিত আলোচনা নানা মুসলমান দলের সহিত আলোচনার চেয়ে স্বfবধাজনক । বহু দল থাকার অসুবিধা এই, যে, এক দল যদি বা একটা প্রস্তাবে রাজী হন, ত অন্ত কোন-কোন দল বাকিয়া বসিতে পারেন । আমরা জানি, অধিকাংশ লেখাপড়-জানা রাজনৈতিকafsffè (politically-minded' ) pinata f=first= অবিশ্বাস করেন ও সন্দেহের চক্ষে দেখেন । তাহ! জানিয়াও কৰ্ত্তব্যবোধে তাহীদের সম্বন্ধে কিছু লিখিতেছি । ধর্শ্ববিষয়ে সমগ্ৰ ভারতের ও সমগ্র পৃথিবীর মুসলমানদের স্বার্থ এক কিনা—এক হইতেও পারে—তাহার আলোচনা ఫ్ఫిNZ3Nరి করিব না। ইহা করিবার প্রয়োজন আমাদের নাই, ধোগ্যতাও নাই। “আমরা কেবল রাষ্ট্রনৈতিক ও অর্থনৈতিক আলোচনাই কিঞ্চিৎ করিব । কিন্তু তাহ বিশেষ করিয়া হিন্দুদের স্বার্থের দিক্ দিয়া করিব না। সমগ্র ভারতের রাষ্ট্রনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাৰ্থ ধাহী, বঙ্গেরও তাহ!—বঙ্গের হিন্দুদেরও তাহ এবং বঙ্গের মুসলমানদেরও তাহা । কিন্তু এগুলি ছাড়া প্রদেশগুলির কিছু আলাদা আলাদা রাষ্ট্রনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ তাছে। লেখাপড়-জানা বাঙালীরা জানেন, অবাঙালীদের মিলের কাপড়, চিনির কারখানার চিনি, ইত্যাদির কাটতি বঙ্গেই বেশী । সেই জন্য অবাঙালীর। বঙ্গে বাঙালীর কাপড়ের কল, চিনির কল, লবণপ্রস্তুতির কারখান। ইত্যাদি স্থলজরে দেখে না। এই সব পণ্যশিল্পের ক্ষেরে অবাঙালী মুসলমান লেত্তার কেহ কি বাঙালী মুসলমানদিগকে উৎসাহ দিয়া বলিয়াছেন, “ভাই, তোমরা এই সব কারখান কর ।” কেহই বলেন নাই । বঙ্গের পাট উৎপন্ন করে যে-সব চামী, তাহাদের অধিকাংশ মুসলমান। পাটগুন্ধের সব টাকাট বাংলা দেশ পাইলে, মুসলমানদেরই সুবিধ সব চেয়ে বেশী হইত ; কারণ বঙ্গে মুসলমানদেরই সংগ্য: বেশী । কিন্তু কোন অবাঙালী মুসলমান সদস্ত ভাবতীয় ব্যবস্থাপক ভায় পাটের সব টাকাট। বঙ্গের পাওয়া উচিত বলিয়াছিলেম কি ? কেন্তই বলেন নাই । ভারতীয় সৈন্যদলে মুসলমান সিপাহীদের মপো পাঞ্জাবীর সংখ্যাই বেশী । বাঙালীর। সৈন্যদলে অবাধ প্রবেশাধিকার পাইলে বাঙালী মুসলমানরাই অধিকাংশ স্থলে সেই অধিকার ভোগ করিবে । কিন্তু বাঙালী মুসলমানরাও মুসলমান বলিয়া কি ভারতবর্ষীয় ব্যবস্থাপক সভার কোন পাঞ্জাবী মুসলমান সদস্য বাঙালী মুসলমানের সিপাহী হওয়ার সমর্থন করিয়াছেন ? কেহই করেন নাই । বঙ্গের অধিকাংশ কৃষক মুসলমান এবং অধিকাংশ বাঙালী মুসলমান কৃষিজীবী । বঙ্গে জলসেচনের ব্যবস্থার খুব দরকার। জলের অভাবে খাদ্যশস্তের চাষ কমিয়াছে। কিন্তু বঙ্গের বাহিরে এক-একটা প্রদেশে ২৪।২৫৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে জলসেচনের খাল আদি প্রস্তুত হইয়াছে। তাহার তুলনায় বঙ্গে জলসেচনের ব্যবস্থা নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর । এই সকল প্রদেশের ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার মুসলমান সদস্যেরা বঙ্গের মুসলমান রুযকদের সুবিধার নিমিত্ত জলসেচনের কৃত্রিম থাল যথেষ্টসংখ্যক হওয়া উচিত কখনও বলিয়াছেন কি ? বলেন নাই । অবগু, ইছাগু সত্য, যে, ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার অবাঙালী হিন্দু সদস্যেরাও বঙ্গের আর্থিক উন্নতিবিধায়ক কোন প্রস্তাব উক্ত সভায় আনেন নাই কিংবা অন্তের আনীত সেরূপ প্রস্তাবের সমর্থন করেন নাই। প্রকৃত কথাটাই এক্ট, যে, অন্যান্য প্রদেশের হিন্দু মুসলমান সবাই বাংলাকে শোষণ