পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ98 প্রৰণসী >N38\ご br এই দুর্ঘটনার পর হতভাগিনা এক প্রভু হইতে অন্য প্রভুর কাছে পচাত্তর বার হস্তান্তরিত হইল । শেষ যাহার কাছে সে বিক্রীত হইল তার নাম য়োরোদজুয়া চোবেই— মিনোপ্রদেশের এক গণিকালয়ের সে মালিক । নূতন প্রভুর নিকট তেরুতে বিনয়-নিবেদন করিলেনশিক্ষাদীক্ষা তাহার নাই, কায়দাকানুন তার অজ্ঞাত, তিনি যেন র্তার মুঢ়তা মার্জন করেন ! চোবেই তখন তার নামধাম ও ংশপরিচয় জানিতে চাহিল। তেরূতে ভাবিলেন, জন্মভূমির নামোল্লেখও সমীচীন নয়, কি জানি পিতার কুকীর্তির কথাও হয়ত প্রকাশ হইয়া পড়িবে! ভাবিয়া চিন্তিয়, হিতাচি-প্রদেশে তাহার জন্ম, কেবল এই উত্তর দিতে তিনি সঙ্কল্প করিলেন । যেখানে হাঙ্গওয়ানের ওমরাহ, র্তার প্রেমাস্পদ, বাস করিতেন, সে স্থান র্ত্যরও জন্মভূমি, ইহ বলিতে তিনি একটা করুণ অনন অঙ্গভব করিলেন । তিনি বলিলেন--হিতাচি-প্রদেশে আমার জন্ম ; কিন্তু বংশ অতি হীন, তাই পদবীর অভাব। দয়া করে আপনিই আমার একটা নাম দিন না ! তখন তেরুতে-হিমের নামকরণ হইল—হিত্যচির কোহাগী। প্রভুর ব্যবসায়ে আত্মনিয়োগ করার আদেশ তিনি পাইলেন । সে-আদেশ পালনে অসম্মত হইয়া তিনি কহিলেন, যেকোন হীন বা কঠিন কাজ তিনি করিতে প্রস্তুত, কিন্তু গণিকাবৃত্তি গ্রহণ করা একেবারেই অসম্ভব । দারুণ ক্রোধে চোবেই উত্তর দিল—তবে শোন তোমার দৈনিক কাজের ফিরিস্তি :– “আস্তাবলে এক-শ ঘোড়া আছে, তাদের খাওয়াতে হবে । বাড়ির সকলে যখন খেতে বসবে তখন তাদের খাবার পরিবেশন করতে হবে । “এ বাড়ির ছত্রিশ জন গণিকার চুল বেঁধে দিতে হবে, যাকে যেমন খোপা মানায় তার তেমনি থোপা চাই ! ত| ছাড়া শণের দড়ি পাকিয়ে রোজ সাতটি বাক্স ভরতে হবে ! “তা ছাড়া রোজ সাতটি চুলোয় আগুন দিতে হবে, আর এখান থেকে আধক্রোশ দূরে পাহাড়ে ঝরণা থেকে জল আনতে হবে ।” তেকতে বুঝিলেন, নিষ্ঠুর প্রভূর নির্দিষ্ট কাজ মামুযে করিতে পারে না। আপন দুর্ভাগ্য স্মরণ করিয়া তিনি অশ্রু মোচন করিলেন। পরক্ষণেই তার মনে হইল কাদিয় লাভ নাই। অশু মুছিয়া আস্তিন গুটাইয়া কোমরে ঝাড়ন জড়াইয়া তিনি ঘোড়াগুলিকে খাওয়াইতে মুরু করিলেন । দেবতার করুণ মাহুষের বুদ্ধির অগম্য ; কিন্তু ইহা নিশ্চিত যে প্রথম ঘোড়াটিকে খাওয়াইতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে দৈবশক্তিতে সমস্ত ঘোড়ার পেট ভরিয়া গেল । বাড়ির সকলকে গাঢ় পরিবেশনের সময়ও সেইরূপ আশ্চৰ্য ব্যাপার ঘটিল ; মেয়েদের চুল বাধার সময়, শণের দড়ি পাকাইবার সময়, উনানে আগুন দেওয়ার সময়ও সেই একই ব্যাপার! কিন্তু দূরবর্তী ঝরণা থেকে জল আনার জন্ত জলের বাল্‌তি কঁধে লইয়! তেরুতে-হিমে চলিয়াছেন, এই দুখ সবচেয়ে করুণ ! জলে বালতি ভরিয়া তাহারই মধ্যে আপন মুথের ছায়। দেখিয়া তেরুতে কাদিয়া ফেলিলেন। নিজের মুখ বলিয়৷ আর মনে হয় না ! সহসা নিষ্ঠুর প্রভুর কথা মনে পড়িল । সন্ত্রস্তচিতে বালতি তুলিয়া লইয়। তিনি তার ভয়ঙ্কর বাসস্থানে ফিরিয়া চলিলেন । অচিরে গণিকালয়ের অধিকারীর মনে সন্দেহ হইল সে তার নূতন দাসী সাধারণ স্ত্রীলোক নহে, ফলে সে তেকুতের প্রতি সদয় ব্যবহারের ভান করিতে লাগিল । o এইবার কানেউজির কথা বলি। কাগামির ফুজিসাওয়া মন্দিরের বহুবিশ্রত যুগ্যো-শোনিন জাপানের সর্বত্র বুদ্ধের বাণী প্রচার করিয়া ফিরিতেন । একদা উয়ানোগাহারা প্রাস্তর অতিক্রম করার সময় তিনি দেখিলেন একটি সমাধির আশপাশে বীকে ঝণকে কাক ও চিল ঘুরিয়া ফিরিতেছে। নিকটে অগ্রসর হইয়ু যাহা দেখিলেন তাহাতে র্তার বিস্ময়ের অবধি রহিল না। খণ্ড-বিখণ্ড ভগ্ন সমাধিশিলার মাঝে একটা অনামা পদার্থ নড়িতেছে, মনে হইল সেটা হস্তপদবর্জিত। তখন তার মনে পড়িল সেই প্রাচীন কিংবদন্তী-ইহ