পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ठेक्काछे ওগুরি-হাঙ্গওয়ান ミoNや স-পরিষদ হাঙ্গওয়ান কোনো সন্দেহ না করিয়া সমস্তই নিঃশেষে পান করিলেন। তখন সেই বিষ তাহদের অস্ত্র ও নাড়িতুড়ির মধ্যে প্রবেশ করিল। বিষের দুৰ্ব্বার শক্তি র্তাহীদের অস্থিপঞ্জর চূৰ্ণ করিয়া দিল । প্রভাতের শিশিরবিন্দু তৃণশীর্ষ হইতে যেরূপে লুপ্ত হয় তেমনি করিয়া তাহাদের প্রাণু দেহপিয়র হইতে দ্রুত নিস্ক্রান্ত হইয় গেল । সাধুরো ও তার পিতা শবগুলি উয়ানেগাষ্ঠীর প্রস্তুরে সমাহিত করিল। رویه নিষ্ঠুর যেকোয়াম ভবিয়া দেখিল, কন্যার পতিকে এরূপে হত্য করার পর, কন্যাকে জীবিত রাখা চলে না। সুতরাং সে তাহার বিশ্বস্ত অনুচরদ্বয় ওমিয়ে ও ওনিজি নামক দুই ভাইকে আদেশ করিল, কন্যাকে সাগামী-সমুদ্রের দূরদেশে লষ্টয়া গিয় ডুবাইয়ু মাধিতে । পাষাণহৃদয় প্রকে বুঝাইয় নিরস্ত করা অসম্ভব, তাই সে আদেশ মানিয়া লণ্ডয়া ছাড় তাহদের উপায় ছিল না। কি আর করে, দুই ভাই উদ্বেগকাতর মহিলাটির কাছে গিয়৷ তাহীদের আগমনের উদ্দেশু জানাইল । পিতার নিষ্ঠুব সস্কল্পের কথা শুনিয়া তেরীতে এতই অবাক হঠলেন যে প্রথমে তাহার মনে হইল তিনি স্বপ্ন দেখিতেছেন । সেই স্বল্প হইতে জাগরিত হইবার জন্য তিনি একান্তমনে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করিতে লাগিলেন । ক্ষণকাল পরে তিনি বলিলেন—“জীবনে সজ্ঞানে কথনে কোনো অপরাধ করি নি...আমার ভাগ্যে যাই থাক, আমার পিত্রালয়ে যাওয়ার পর আমার স্বামীর কি হ’ল জানবার জন্যে আমার ব্যাকুলত কি ক’রে বোঝাবে " দুই ভাই উত্তর দিল—“প্রভুর অনুমতি না নিয়ে আপনার বিয়ে করেছেন শুনে তিনি ভীষণ ক্রোধে আপনার ভাই সাবুরোর সাহায্যে কুমারকে বিষ খাইয়ে মেরেছেন !" শুনিয়া শোকে ও বিস্ময়ে অভিভূত হইয়া তেরীতে নিষ্ঠুর পিতাকে অভিসম্পাত দিতে লাগিলেন। কিন্তু নিজের দুর্ভাগ্যের জন্য বিলাপ করার অবসরও তাহার নাই ; ওনিয়ে ও তাহার ভাই অবিলম্বে র্তাহাকে বিবস্ত্র করিয়া খড়ের মাদুরে জড়াইয়ু ফেলিল । তেরুতে ও র্তার সর্থীবৃন্দ কঁদিতে কঁাদিতে পরস্পরের কাছে শেষ বিদায় গ্রহণ করিলেন। নৌকা সমুদ্রে গিয়া পড়িল । দুই ভাই যখন দেখিল কেহ কোথাও নাই, তখন তাহারা পরামর্শ করিয়া প্রভূ-কন্যার প্রাণ রক্ষার উপায় চিন্তা করিতে সুরু করিল। এমন সময়ে ম্রোতের মুখে একখানি খালি ডোঙা ভাসিতে ভাসিতে তাহাদের নিকটে আসিয়া পৌছিল। ভাইয়ের বলিল— আমাদের ভাগ্য স্বপ্রসন্ন ! প্রভুকন্যাকে ডোঙার মধ্যে বসাইয়ু বিদায়-নমস্কার করিয়া নৌকা বাহিয় তাহার প্রভুর কাছে ফিরিয়া গেল ।

  • সাত দিম সাত রাত দারুণ ঝড় ও বৃষ্টি । শালতিখানা অবিরাম ঢেউয়ের ঘায়ে বিপৰ্য্যস্ত হইয় অবশেষে নাওয়ের নিকটে জনকয় জেলের চোপে পড়িল । জেলের সমুদ্রে মাছ ধরিতেছিল । শালতির মধ্যে সুন্দরীকে দেখিয়া তাহার ভাবিল এ মানবী নয়, অপদেবতা-ঝড়-জল সে-ই অনিয়াছে । স্থানীয় এক ব্যক্তি তাহার ভার গ্রহণ না করিলে সম্ভবত দাড়ের ঘায়ে তার প্রাণ যাইত ।

উক্ত ব্যক্তির নাম মুরাকিমি দায়ু। লোকটির নিজের সস্তানাদি না থাকাতে সে সঙ্কল্প করিল তেরীতেকে কন্যারূপে গ্রহণ করিবে। এই ভাবিয়া সে তাহাকে গৃহে লষ্টয়া গেল এবং তাঁহার নাম দিল য়োরিহিমে। কিন্তু উহার প্রতি সস্নেহ সদয় ব্যবহার করাতে লোকটির পত্নীর মনে ঈর্ষার সঞ্চার হইল। পতির অনুপস্থিতি কালে সে মেয়েটির প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার করিতে মুরু করিল। তবুও য়োরিহিমে বিদায় হয় না দেখিয়া সেই দুঃশলা স্ত্রীলোক চিরতরে তাহাকে সরাইবার দুরভিসন্ধি আঁটিতে লাগিল । ঠিক সেই সময়ে সমুদ্রকুলে মেয়েধরার এক জাহাজের আবিস্তাব । য়োরিহিমেকে গোপনে সেই নারীদেহের ব্যাপারীর কাছে বিক্রয় করা হইল ।