পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*リ?鶴。 পাচনি জাগঞ্জ ওর চোখ দুটাে ভিজে উঠেছিল। বিদায়-পূর্বের বেদন করুণ হয়ে মনের মাঝে উঠেছিল জমে। এরই মধ্যে কেমন ক'রে ও যে সাংসারিক তুচ্ছ কথার শাখা বিস্তার করতে পারল এই ভেবে আমি আশ্চৰ্য্য হয়ে ঘাই । মেয়েরা পারে, তারা সময়োপযোগী অবস্থার সঙ্গে চমৎকার খাপ খাইয়ে নিতে পারে। স্নেহ, মায়ী ওদের আছে, কিন্তু তার আতিশষ্যকে ওরা প্রকাশ করতে চায় না। হয়ত একটি অবসর-সময়ে এই বিচ্ছেদবেদন নিয়ে, ও সযত্নে লালনপালন করবে, ওদের পূর্ববর্তী দিনের কথা স্মরণ ক'রে কল্পনারাজত্বে বিলাস ক’রে বেড়াবে। •••বেলা প্রায় চারটে, নৃতন বাড়ীর দোরের কাছে fরকৃশ এসে দাড়াল। চাবি খুলে ঘরে ঢুকলাম, জিনিষপত্রগুলো সব ঠাসাঠাসি ক’রে রাখা হয়েছে। কাঞ্চন সব গোছাতে লাগল। নরমী-দিয়ে-ঘেরা রান্নাঘরে উকি মেরে দেখি কাঞ্চনের কথাই সত্যি, এরাও যাবার সময় উলান ভেঙে দিয়ে গেছে, শিকগুলো খুলে নিয়ে গেছে । ঘুরে ঘুরে সমস্ত ঘরটা দেখতে আরম্ভ করলাম, কাঞ্চন তত ক্ষণ ঘর ঝাট দিতে আরম্ভ করেছে। ঘরের তীকগুলো খালি পড়ে আছে। মেঝেটা ধুলোবালিতে অপরিষ্কার। এক কোণে একট দাড়াভাঙা চিরুণী, মাথার একটা মরচেধরা কাটা, গোট দুই তিন পেরেক । কাঞ্চন পেরেকগুলো কুড়িয়ে রাখল, বললে, “তুলে রাখি, ছবিগুলো টঙাবার সময় কাজে লাগতে পারে ।” পেরেক, চিরুণী, মাথার কঁটি। এ সব আগের ভাড়াটেনের স্মৃতিচিহ্ন। আমার কেমন ওগুলো যত্ন ক'রে তুলে রাখতে ইচ্ছে করে। ঘুরতে ঘুরতে দেখি দেওয়ালের গায়ে একটা দুচ বেঁধ, খানিকট স্বতোও তাতে পরানো আছে । সুক্ষ জিনিষ পাছে হারিয়ে যায় ব’লে বোধ হয় দেয়ালে গুজে রেখেছিল,—ওরা বোধ হয় ভাবে নি যে বাড়ী বদল করবার সময় তুলে যেতে পারে । ওধারে ছেলেদের বইয়ের একখানা ছেড়া মলাট পড়েছিল, সেইটে ফেলে দিতে গিয়ে দেখি দেওয়ালের গায়ে আঁকাবঁক অক্ষরে লেখা রয়েছে, দিদি বড় দুই, ইতি রেখা। হয়তো এর আগে ধারা ছিল, তাদেরই কোন মেয়ে দিদির নামে এই অভিযোগের লিপি দেওয়ালে লিখে গেছে। কপাটের গায়ে অনেকগুলো প্রবণসী ১২ইঞ্চি৪ দাভিকটি খড়ির দাগ দেখে কাঞ্চলকে বলি, “দেখ, আগের डास्त्राप्तीब्र बछ्छ८ञाश्व्र णि किस्त्र, कंगारप्लेब्र गोप्य कस् খড়ির দাগ কেটেছে দেখ না । কষ্ট দেখি কাঞ্চন উঠে এল—‘ওগুলো নোংরামি নয়, কেরোসিন তেলের হিসেব। দেখ এক-একটা দাড়ি মানে এক এক বোতল ভেল। দেথছ না, কতকগুলো দাড়ি দাগ টেনে কেটে দিয়েছে, কতকগুলো মূচে দিয়েছে ; তার মানে ওগুলোর হিসেব মিটে গেছে।’ কাঞ্চন ঘর গুছোতে লাগল । রাত্রে আমরা কোন রকমে বিছানা পেতে গুলাম, যেন ভোরের গাড়ী ধরব বলে মুসাফিরখানায় অপেক্ষা করছি। সমস্ত রাত ਿਆਿਸ਼পত্র গুছোন হয় নি। মাথার কাছে বাক্স-পেটরা তিনচারটে পুটুলি আগোছাল ভাবে পড়ে আছে । পরদিন সকালবেলা কাঞ্চন ঠিক সময় মত আপিলেং ভাত জোগালে । উনানটা এখ, ৪ সম্পূর্ণ হয় নি, তা? টোভেব সীতাষো কাজ সীরক্তে হ'ল । ...প্রায় সন্ধা হয়-চয়, অপিস থেকে কিরছি ধৰ্ম্মতলা দিয়ে । ক্যাশিয়ারের সঙ্গে স্তীগু ভয়ানক কগড় হয়ে গে.ে মনটা তাই জটিল । নামান চিস্থ মনের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে । যত বার ঝগড়ার কথাটা মনে হচ্ছে, তত বরিষ্ট রাগে সমস্ত দেহটা জলে উঠছে। শুধু কাঞ্চমের জঙ্গে কিছু বলি নি, •ায়ত ঘা-কতক উত্তম-মধাম দিয়ে আঞ্জক্ট চাকরিতে ইস্তফ দিয়ে আসতাম। কি মনে হ’ল, ওয়েলিংটন স্কোয়ারে ঢুকলাম । নানান চিস্ত জড়িয়ে ধরড়ে লাগল । ছেড়ে দেব এ-চাকরি—কাজের ভাবনা কি । এষ্ট ত নিতাই হালদার ইন্সি ওরেন্সের দালালি ক'রে বড়লোক হয়ে গেল। তাই করব, ইন্সিগুরেন্সের দালাগি, পাটের দালালি, অর্ডার সাপ্লাই—কত কাজ আছে, অভাব কি ! এ-সবে বরং উন্নতির আশা আছে । ত্রিশ টাকা মাইনেয় কলম-পিষে কি জার উন্নতি হবে! --সামান্ত কিছু টাকার দরকার। পায়ালালকে বলব।--দেবে নিশ্চয়ই। ও তো কত টাকা উড়িয়ে দেয়, এট সামান্ত টাকাটা দেবে না! একেবারে নয়, ধার হিসেবে। প্রায় আটটা বেজে গেল। ভাৰতে ভাবতে বাড়ীর দিকে পী চালিয়ে দিলাম। পথের দোকানগুলো খরিদ্ধারে ভৰ্ত্তি,