পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১১৯
অমরমাণিক্য ও মঘরাজ

সরাইলের দক্ষিণে জঙ্গল কাটাইয়া কুমার রাজধরের উৎসাহে বেয়াল্লিশ নামক নগর বসান হয়, বর্ত্তমানেও সরাইল পরগণার দক্ষিণাংশ “তপে বেয়াল্লিশ” নামে পরিচিত।

 এই সময়ে রাজধরের পুত্র যশোধর জন্মগ্রহণ করেন, তাঁহার জন্মপত্রিকায় ছেদ যোগ থাকায়, কাণ নাকের কিঞ্চিৎ ছেদন করা হয় যেন দোষ কাটিয়া যায়। ইহার একবৎসর পরে কৈলাগড়ে মহামাণিক্যের দ্বিতীয় পুত্র গগনের ধারায় কল্যাণের (মাণিক্য) জন্ম হয়। কল্যাণের জন্মপত্রিকা দৃষ্টে ইহা বুঝা গিয়াছিল যে এই শিশু কালে অসামান্য তেজস্বী হইবেন।

(১০)

অমরমাণিক্য ও মঘরাজ

 সুখ দুঃখ বিধির বিধানে মানুষের ভাগ্যে চক্রবৎ পরিবর্ত্তিত হইতেছে। অমরমাণিক্যের জীবনের সুখের ভাগ ফুরাইয়াছিল এখন কেবলি দুঃখের ভাগ অবশিষ্ট রহিল। তাই তাঁহার শেষ কাল অনেকটা সাজাহানের মত। সাজাহানের ন্যায় তিনি সহসা পীড়িত হইয়া পড়িলেন আর অমনি পুত্রদের মধ্যে সাড়া পড়িয়া গেল সিংহাসন কাহার হইবে! রাজ্যের দূর প্রান্তে থাকিয়া যখন রাজধর শুনিলেন পিতার অসুখ অমনি তিনি সৈন্য সামন্ত লইয়া রাজধানী অভিমুখে যাত্রা করিলেন। মহারাজের