পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯২
বিদ্যাসাগর।

পাওয়া যায়। যাহাই হউক, “বেতালে"র আদর প্রথমে হউক বা না হউক, যখন ইহা আদরণীয় হইয়া উঠে, তখন অনেকে বেতালের অনেক অংশ মুখস্থ করিয়া রাখিতেন।

 “বেতালে"র প্রথম কয়েক সংস্করণে বিরাম-চিহ্ন অর্থাৎ কমা, সেমিকোলন প্রভৃতি ব্যবহৃত হয় নাই; পরে সাধারণের সুবিধার্থ ব্যবহৃত হয়। ফোর্ট উইলিয়ম্‌ কলেজের জন্য কর্ত্তৃপক্ষ তিন শত টাকা দিয়া একশত খণ্ড বেতাল ক্রয় করিয়াছিলেন।

 কয়েক বৎসর পূর্ব্বে ৺ মদনমোহন তর্কালঙ্কারের জামাতা ৺ যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ এম্‌ এ, তর্কালঙ্কার মহাশয়ের জীবনচরিত লেখেন। এই জীবন-চরিতের ৪২ পৃষ্ঠায় “বেতাল"-সম্বন্ধে নিম্নলিখিত কয়েক ছত্র লিখিত হয়,—

 “বিদ্যাসাগর-প্রণীত 'বেতাল-পঞ্চবিংশতি'তে অনেক নূতন ভাব ও অনেক সুমধুর বাক্য তর্কালঙ্কার দ্বারা এতদূর সংশোধিত ও পরিমার্জ্জিত হইয়াছিল যে, রোমাল্ট ও ফ্লেচরের লিখিত গ্রন্থ গুলির ন্যায় উহা উভয় বন্ধুর রচিত বলিলেও বলা যাইতে পারে।”

 বিদ্যাসাগর মহাশয় এ কথা স্বীকার করেন নাই। তিনি বলেন, শ্রীযুক্ত গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ও মদনমোহন তর্কালঙ্কারকে “বেতাল” পড়াইয়া শুনান হইয়াছিল মাত্র। তাঁহাদের কথামতে দুই একটী শব্দ মাত্র পরিবর্ত্তিত হইয়াছিল, ইহার প্রমাণার্থ তিনি ৺ গিরিশ চন্দ্র বিদ্যারত্নকে এই পত্র লেখেন,—

 অশেষগুণাশ্রয়

 শ্রীযুক্ত গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ভ্রাতৃপ্রেমাস্পদেষু

 সাদরসম্ভাষণমাবেদনম্‌

 তুমি জান কি না বলিতে পারি না, কিছু দিন হইল, সংস্কৃত