পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুজাতির যোগবল ও হরিদাস যোগী । ৩৯ কিন্তু কিয়ৎক্ষণ পরে কোথা হইতে সেই মৃত শরীরে প্রাণ-বায়ু জাসিল, এবং যোগীও সচেতন হইয়া ধীরে ধীরে কথাবার্তা কহিতে লাগিলেন । ধ্যানসিংহের লোকের জম্বুতে লইয়া যাইবার জন্ত অনেক অনুনয় করিলেন,কিন্তু তিনি কিছুতেই সম্মত হইলেন না। এই সংবাদ জদুতে পছছিলে ধ্যানসিংহ স্বয়ং অমৃতসরে আসিয়া সশিষ্য যোগীকে জম্বুতে লইয়া গেলেন । তথায় সন্ন্যাসী চারি মাস মৃত্তিকার ভিতর জড়বৎ পড়িয়া থাকেন, ধ্যানসিংহ ইহা স্বচক্ষে দেখিয়া ছিলেন । মৃত্তিকার ভিতরে প্রবেশ করিবার পূর্বে র্তাহার সমস্ত দাড়ী গোপ কামাইয়া দেওয়া হইয়াছিল ; এবং এই চারি মাসের মধ্যে র্তাহার কিছুমাত্র চুল গজায় নাই । ক্রমে ক্রমে হরিদাসের কথা ভারতবর্ষের চতুর্দিকে পরিব্যাপ্ত হইয়া পড়িল । বাঙ্গালা দেশের দুই এক জন সংবাদপত্র-লেখক সাহেব এ সম্বন্ধে অনেক বিন্ধেপ করিয়া লিখিতে আরম্ভ করিলেন । কথিত আছে, লড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ক ও তৎপরে লড অকৃল্যাও এ বিষয়ে তথ্য লইবার জন্ত পঞ্চাব ও রাজপুতনার এজেন্ট দিগকে সৰ্ব্বদাই পত্রাদি লিখিতেন । হরিদাসকে দেখিবার জন্ত র্তাহাদের অত্যন্ত কৌতুহল জন্মিয়াছিল । যখন হরিদাস শিষ্যগণ লইয়া পুষ্করে ভ্রমণ করিতে গিয়া ছিলেন, তখন ম্যাকৃনাটন সাহেব রাজপুতনায় এক জন রাজনৈতিক কৰ্ম্মচারী ছিলেন । স্বয়ং লাট সাহেব হরিদাসকে দেখিবার জন্ত ম্যাকৃনাটনকে এক খানি পত্র লিথিয়া ছিলেন । এজন্ত ম্যাকৃনাটন সাহেব কলিকাতায় লইয়া যাইবার জন্ত হরিদাসকে অনেক অনুরোধ করিলেন । হরিদাস শুনিয়া ছিলেন, কলিকাতায় র্যাহারা হিন্দু আছেন,তাহারা বিধৰ্ম্মী দিগেরও উচ্ছিষ্ট