পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরঙ্গজীব ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । $t জারঙ্গঞ্জীব দেখিলেন, এখন সিংহাসন অধিকার না করিলে লোকে তাহাকে সৰ্ব্বতোভাবে মানিবে না ; নানা লোকে নান কথা কহিবে। পারিষদেরা ও বুঝিলেন যে, আরঙ্গঞ্জীব দিবরাত্র যে ধর্মের দোহাই দিয়া থাকেন, তাহ ছলমাত্র। পিতাকে ও ভ্রাতৃগণকে রাজ্যে বঞ্চিত করাই তাহার অভিপ্রেত । অতএব মনের কথা বলিলেই তিনি সস্তুষ্ট হইবেন । এই ভাবিয়া সকলেই তাহাকে যথাবিধানে রাজ্যে অভিষিক্ত হইবার নিমিত্ত অনুরোধ করিতে লাগিলেন । আরঙ্গজীব সংসার-বিরাগীর স্তায় বলিলেন,—“দেখিতেছি,তোমাদের নিজের সুখের জন্ত তোমরা আমাকে সংসার ত্যাগ করিতে দিলে না । ভাল, না দাও ; সন্ন্যাসীরা নির্জন গিরিগুহায় বসিয়া যেরূপ শাস্তিমুখ লাভ করেন, ঈশ্বর করুন, এই রত্ন-সিংহাসনে বসিয়া আমিও যেন সেইরূপ সুখ ভোগ করি । রাজকার্য্য দেখিতে হইলে ঈশ্বরচিত্ত করিতে আমি অবসর পাইব না, তাহ সত্য । কিন্তু কাজ লইয়া কথা । দিল্লীর অধীশ্বর হইলে তামি ভূরি ভূরি সৎকৰ্ম্ম করিতে পারিব তাহাতে সন্দেহ নাই’ । লোককে এইরূপ বুঝাইয় >ペ9億br খৃষ্টাব্দে ২ আগষ্ট দিল্লীর নিকটবৰ্ত্তী অাজাবাদের উদ্যানে আরঙ্গজীব যথাবিধানে রাজপদে অভিষিক্ত হইলেন । আরঙ্গজীব সম্রাট হইয়াছেন, বাঙ্গলায় সংবাদ পৌছিল । শ। সুজা পুনৰ্ব্বার সমর সজ্জা করিয়া প্রয়াগের নিকটে উপস্থিত হুইলেন । আরঙ্গজীবও সসৈন্তে তাহার গতিরোধ করিতে গেলেন । কিদ্ব গ্রামে তুষ্ট পক্ষে তুমুল সংগ্রাম হইল । সে দিনের যুদ্ধে শী সুজা একটু স্বস্থির থাকিতে পারলেই