দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ ఫి&h লোকের সম্মুখে সে এইভাবে টাকার তাগাদ করায় আমার বড় রাগ হইল, আমি তাহাকে বলিলাম "এখানে তোমাকে আসিতে কে বলিল ? ইহা তাগাদার যায়গা নয়,—তুমি বাহিরে যাও। আমার কথা শুনিয়া জহরী চটিয়া বলিল, “এই মুহূর্তেই আমার এই বিলের টাকা চুকাইয়। দেন ; বিলখানি অনেকদিন হইতে পড়িয়া আছে ; আর আমি ইহা ফেলিয়া রাখিব না। আপনি যদি এই মুহূর্বে টাকা না দেন, তাহা হইলে আমি আপনার স্বামীর নিকট টাকার তাগাদ করিব।”—তাহার আড়াই হাজার টাকার বিল, কিন্তু সে সময় আমার হাতে আড়াই টাকাও ছিল না ; আমি বিষম বিপদে পড়িলাম। আমি তাহাকে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করিতে বলিলাম ; কিন্তু ‘আজ টাকা না লইয়। উঠিব না? বলিয়। সে একখানা চেয়ারে বসিয়া পড়িল ।” দস্তুর সাহেব জিজ্ঞাসা করিলেন, “জহরীটীর সঙ্গে যখন তোমার কথাবাৰ্ত্ত চলিতেছিল, সে সময় পেষ্টনজি কি করিতেছিল ?” রমলা বলিলেন, “প্রথমে তিনি জহরীর কথা যেন শুনিতেই পান নাই এইভাবে বসিয়াছিলেন । তারপর যখন জহরীটা চেয়ারে চাপিয়া বসিল, তখন তিনি তাহার পকেট হইতে একটি ‘পকেট কেস বাহির করিয়া তাহা তাহার সম্মুখে নিক্ষেপ কপ্লিলেন, বলিলেন, "তুমি সামান্য আড়াই হাজার টাকার জন্য এরূপ একজন সন্ত্রান্ত মহিলার অপমান করিতে উদ্যত হইয়াছ ? আমার এই পকেট কেসে আড়াই হাজার টাকার নোট আছে, লইয়া চলিয়া যাও, আর বেয়াদপি করিও না’ ।” দস্তুর সাহেব জিজ্ঞাসা করিলেন, “জহরীটা কি তৎক্ষণাৎ চলিয়। গেল ?” > *
পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৬৩
অবয়ব