পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব । >ఇరి আর কিছু না হয় ; তাহা হইলে সাধারণ মানবীয় মনও, মনঃসম্বন্ধী আদি এবং প্রাথমিক বীজের ক্রম-পরিণতি ভিন্ন আর কিছুই হইতে পারে না । কিন্তু এখন কথা এই পরিণতিযোগে প্রাপ্ত যে অবস্থা, তাহা কি পরিণতি-নিয়মে নূতন স্বল্প, না আদি বীজেরই তাহ সম্প্রসারণমাত্র । প্রকৃতিতে যাহা নাই তাহা হয় না ; যাহা আছে তাঁহাই হয় । কি জীব কি মনুষ্য, কেহই কিছু নূতন স্থষ্টি করে না ; অথবা বিবৰ্ত্তনিয়ম বা পরিণতি বশেও কিছু নূতন উৎপন্ন হয় না ; হয় কেবল প্রকৃতিতে যাহা ছিল, কাল ও উপকরণযোগে তাহারই সম্প্রসারণমাত্র। প্রকৃতির অনন্ত সমর্থ্য, প্রাকৃতিক বীজে অনন্ত পরিণতির সম্ভবত ;–রেণুমাত্র বীজে অনন্ত অরণ্যানার পরিণতি নিহিত রহিয়া থাকে। এমন কি তোমার মাধ্যাকর্ষণ, বা রেলের গাড়ী ও তারের খবর, ইত্যাদি, এ সকলেরও নূতন স্বষ্টি হয় নাই ; প্রকৃতিতে সে সমস্তেরই তত্ত্ব নিহিত ছিল, মানুষ কেবল তাহা আবিষ্কার করিয়াছে মাতু। আবিষ্কারও হঠাৎ হয় নাই, ক্রমপরিণতিবশে হইয়াছে ; যাহার আয়োজন পূর্ণ হইয়া আইসে, পরমুহূৰ্ত্তে তাহাতে যে আহুতি প্রয়োগ তাঁহাই আবিষ্কার শব্দে ঘোষিত হয় । যে দিন ভাস্করাচাৰ্য্য পৃথিবী সম্বন্ধে বলিল,—“স্বশক্তৈব বিয়তি নিয়তং তিষ্ঠতি,” সেই দিন জানা গেল, সেখান হইতে মাধ্যাকর্ষণ আবিষ্কারের দিন অতি নিকট । এখন মনে সন্দেহ হইতে পারে যে, স্বক্ষ আদি বীজে কিরূপে সমস্ত উত্তর পরিণতি, একটা স্বক্ষরেণুরৎ বীজকণায় কিরূপে অনন্ত অরণ্যানি এ সকলের সমাবেশ সম্ভব হইতে পারে । এটা কি বাস্তবিকই অসম্ভব ও আশ্চৰ্য্য বলিয়া বোধ হয় ? ইহাত দেখিয়াছ, স্বল্পতম ক্ষুদ্র বিন্দুরেতে গর্ভসঞ্চার ও তাঁহাতে সন্তানেৎপত্তি হয় ; সন্তান পবিণত