পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V) ঐতিহাসিক চিত্ৰ । হৈ। ইন্সলিয়া মেরে কো মুসলমান হোনা মনজুর নাহী হৈ ; বাকী জো তুমিলোগোকী ইচ্ছা হো করো।—স্বধৰ্ম্ম ছাড়িয়া পার্থিব কোন পদার্থই আমি ভোগ করিতে চাহি না । এজন্যই ইসলাম গ্রহণেও আমার অভিলাষ নাই । তোমাদের যাহা ইচ্ছা আমার করিতে পার ।” তখন সুবেদার ও কাজীদিগের মতে মত দিয়া হকীক তকে নিহত করিবার জন্য আদেশ করিলেন । যখন ঘাতকের সেই তরুণযুবক হ কাকতকে লইয়া রাজপথ বাহিয়া সগৰ্ব্বে ‘কত’লখানায়” গমন করিতে লাগিল, তখন নগরের লোকসমূহ তাহার সৌম্যমুত্তি সন্দর্শনে আকৃষ্ট হইয়া নীরবে অশ্রুবিসর্জন করিতে লাগিল । উন্মদিনী মা তা সন্তানকে দেখিতে পাইয়া ঘাতকের বাধা অবহেলা করিয়া, ছুটয়া গিয়া, সন্তানের গললগ্ন হইয়। ক্ৰন্দন করিতে• লাগিলেন । বলিলেন, “ওরে ! তুই এখনই মুসলমান হ। তুই মুসলমান হইলেও তোকে আমি চোখে দেখতে পেয়ে সুখী হ’ব । তুই এখনই মুসলমান হয়।” হকীকত কিন্তু মাতার এই আদেশ রক্ষা করিতে পারিলেন না। তিনি বলিলেন-‘ম ! আমাকে তুমি ধৰ্ম্মত্যাগ করিতে উপদেশ দি ও না । তোমার সামান্য স্বার্থ রক্ষা করিতে যাইয়া তোমার আমার উভয়েরই কৰ্ত্তব্য পালনে ক্ষতি হইবে । ধৰ্ম্ম-বিমুখ পুরুষ কোন কালেই সদগতি প্ৰাপ্ত হয় না । এই বিনশ্বর জীবনের জন্য ধৰ্ম্ম-বিমুখ হওয়া সৎ-পুরুষের কোন ক্ৰমেই উচিত নয়। আর ধৰ্ম্মত্যাগ করিয়া লালসাপূর্ণ এই “দুমিল” জগতে বিচরণ করা অধম পুরুষেরই লক্ষণ । জগতে থাকিয়া অধম পুরুষ বলিয়া বিবেচিত হইতে আমার অভিলাষ নাই। মাগো ! তুমি আমাকে আশীৰ্ব্বাদ করু যেন ধৰ্ম্মে আমার বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়, আমি যেন সেই বিশ্বাস বলে এই নশ্বর দেহ ত্যাগ করিয়া সদগতি লাভ করিতে পারি।” সন্তানের এই ধৰ্ম্মজনক বাক্য শুনিয়া মাতা আর কিছু বলিতে পারলেন না ;