* ৯৮. মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । अहं गृ७ আমি আর "অধিক বার দেখিতে পাইলাম না । তখন সেই পুরুষকে জিজ্ঞাসা করিলাম—“তুমি কে পরিচয় দাও ।” তিনি বলিলেন, “আমি পুরুষ, আর. যাহা দেখিতেছি। ইহা প্ৰকৃতি।” প্ৰাচীন গ্রন্থে পুরুষ ও প্ৰকৃতি সম্বন্ধে নানা কথা পাঠ করিয়াছিলাম। এই ব্যাপারে। আমার হৃদয়ের এক দ্বার উন্মুক্ত হইল। ঈশ্বরের সম্বন্ধে পুরুষ ও প্ৰকৃতি কি ? পুরুষ সত্তা মাত্ৰ । সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্ৰহ্ম ইহা পুরুষ । এই পুরুষের মহিম বৰ্ণনাতেই উপনিষদ ও শ্রুতি পূর্ণ।” * পদব্রজে চট্টগ্রাম গমন করা বর্তমান সময়ের সুগমপ্ৰিয় লোকের পক্ষে কল্পনা করাও কঠিন। আর অৰ্দ্ধশতাব্দী পূৰ্ব্বে যখন যাতায়াতের কোনরূপ সুবিধা ছিল না, পথপ্রান্তর নানা প্রকার বিঘ্নবিপদে পূর্ণ ছিল, তখন অনলোপাম উৎসাহ লইয়া বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় পদব্ৰজে কলিকাতা হইতে চট্টগ্রাম গমন করিয়াছিলেন। তিনি উৎসাহে মত্ত হইয়া গ্রামে গ্রামে ধৰ্ম্মের প্রাণোন্মাদ কারিণী বার্তা প্রচার করিতে করিতে এইরূপে অনায়াসে সুদূর প্রদেশে গমন করিতেন । কোন কষ্টকে তাহার কষ্ট জ্ঞান হইত না । সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের অন্যতম প্রচারক শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় লিখিয়াছেন ঃ-“গোস্বামী মহাশয় স্বয়ং "তাহাকে বলিয়াছিলেন যে তিনি কলিকাতা হইতে গ্রামে গ্রামে প্রচার করিতে করিতে চট্টগ্রামে গিয়াছিলেন । যে সমস্ত স্থানে নদী খাল ইত্যাদি ছিল কেবল তথায় নৌকার সাহায্য লাইতে হইয়াছিল। আর পূর্ববঙ্গে প্রচারার্থে ভ্ৰমণ কালে কখন এমন ঘটিয়াছে যে তঁাহাকে খাদ্যাভাবে কর্দম ছাকিয়া উহ। খাইয়া জীবন রক্ষা করিতে হইয়াছিল। যিনি পুনঃ পুনঃ বলিয়াছেন ;—“আমার শরীরের এক এক বিন্দু রক্ত ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মকে পোষণ করুক ইহাই আমার * পূর্ববাঙ্গলা ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে প্রদত্ত উপদেশ। ,