স্বপ্ন-দর্শন,-থ্যায়-বিষয়ক R> দণ্ডজ্যোতিঃ সহ করিতে না পারিয়া, লজ্জিত ও অপমানিত হইলেন, এবং কতিপয় বিচক্ষণ ব্যক্তি র্তাহাদের পদে অভিষিক্ত হইয়া যশস্বী হইতে লাগিলেন। কিন্তু ইহাতেও বিস্তর মান্য পদ শূন্য থাকিল দেখিয়া, ধর্ম্মপুরুষ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কতকগুলি জ্ঞানবান শান্ত-স্বভাব পরিশ্রম-বিমুখ ব্যক্তিকে যথোচিত সংবৰ্দ্ধনা করিয়া মৃদুভাবে মধুরস্বরে কহিতে লাগিলেন,-“তোমারা বিদ্যাবান ও ধর্ম্মশীল বটে; কিন্তু এ প্রকার গুণসম্পন্ন হইয়া, আলম্ভের বশীভুত থাকা উচিত নয়। কতকগুলি পুস্তক-সমভিব্যাহারে বিরলে কাল যাপনার্থে বিদ্যার সৃষ্টি হয় নাই, এবং সংসারের শুভাশুভ তাবৎ বিষয়ে উপেক্ষা করিয়া, অনুৎসাহে কালক্ষেপণ করাও ধর্ম্মের উদ্দেশ্য নয়। ভূ-মণ্ডলে জন্মগ্রহণ করিয়া, যদি সংসারের কার্য্যই না করিলে, তবে জীবন ধারণের ফল কি? আজ্জিত বিদ্যাকে যদি জগতের উপকারার্থে নিয়োগ না করিলে, তবে সে বিদ্যার প্রয়োজন কি? যদি সকলেই তোমাদের ন্যায় বৃথা কাল হরণ করে, তবে এক দিবসেই লোক-যাত্রার উচ্ছেদ-দশা উপস্থিত হয়। তোমরা বলিয়া থাক, আমরা আকাজফার হস্ত হইতে উত্তীর্ণ হইয়া, সন্তোষ অবলম্বন করিয়াছি; কিন্তু তোমাদের যে প্রকার হীন অবস্থা দেখিতেছি, তাহাতে এরূপ নিশ্চেষ্ট থাকা উচিত নয়। তোমরা কোনক্রমে প্রাণ ধারণ করিয়া রহিয়াছ; সমুচিত। অন্ন-বস্ত্রাদি আহরণেও সমর্থ নহ। যথেষ্ট উপাদেয় অন্ন, স্বচ্ছন্দ-পরিধেয় পবিত্র বস্ত্র, প্রশস্ত পরিষ্কৃত বাট এবং অন্যান্য আবশ্যক দ্রব্যাভাবে তোমাদের পরিবারের ক্লিষ্ট ও পীড়িত হইয়া অশেষ প্রকার দুঃখ “পাইতেছে; তাহদের রোগ হইলে ব্যয়সাধ্য-প্রযুক্ত তাহার