भश्Uाश्रु-जओज्5 ( Swb”ፃ ) একটি বন্ধুর সহিত অনেকদিন একসঙ্গে বাস করিয়াছিলাম। লোকের যেরূপ স্বর থাকিলে গান গাইতে পারে, বলা যায়, সে স্বর তাহার কণ্ঠে ছিল। অনেক প্রকার জাতীয়, বিজাতীয়, পাঠ্য ও অপাঠ্য সঙ্গীত তাহার অভ্যস্থ ছিল। একতন্ত্রী হইতে বহুতন্ত্রী পর্য্যন্ত, খোল হইতে ঢোল পর্য্যন্ত, এমন কোন যন্ত্র ছিল না, যাহার সাক্ষাৎ পাইলে একবার তিনি করাঘাত না করিয়া ছাড়িতেন। একসঙ্গে থাকিতাম বলিয়াই হউক, অথবা অন্য কোন অজ্ঞাত কারণেই হউক, আমি কখন তাহাকে গান শুনাইতে অনুরোধ করি নাই। কখনও অনুরোধ করি নাই, তবে একদিন করিয়াছিলাম। একদিন চৈত্র মাসের দ্বিপ্রহর; প্রচণ্ড মার্ত্তণ্ড পৃথিবীকে লণ্ডভণ্ড করিয়া তুলিয়াছেন, পড়িতে পারা যায় না, ঘুম পায়, শুইয়া সুখ নাই, বিছানা বড় গরম; কিন্তু তখনও সেই রৌদ্রে অশ্বখের ডালে বসিয়া অনেক কিচির-মিচির শব্দ পরাভূত করিয়া, বসন্তের প্রিয়পাখী বিরাহিণীর হৃদয় অপেক্ষাও অধিক উত্তপ্ত বালুকাময় প্রান্তরে তাহার কুহুরব ছড়াইতেছিল। শুনিয়াই আমার কবিতা লিখিতে ইচ্ছা গেল; অল্পায়াসেই এক চরণ লিখিয়া ফেলিলাম:-“কি সুখে ডাকরে পাখী দুপুরের রোদে।” তাহার পর পদের মিল খুজিয়া লিখিলাম:-“থাম তুমি বাছা মোর খেতে দিব বোদে।” কিন্তু যে সকল কথা লিখিক