ত্যাগ করিবার পূর্ব্বেই আমার নিকট পৌঁছায় অনুগ্রহপূর্ব্বক সেদিকে লক্ষ্য রাখিবেন।—এস সি বােস। ১৯।৩।২৭।”
প্রায় ঘণ্টা দেড়েক বাদে চিরকুটখানি আমার নিকট ফেরত আসে। উহার তলায় সুপারিণ্টেণ্ডেণ্টের হস্তাক্ষরে স্বাক্ষরসহ নিম্নলিখিত কথাগুলি লেখা ছিল—
“মিঃ বােসকে অনুরােধ করা হইতেছে যেন তিনি আমার চীফ জেলারকে হুকুম না করেন।
(স্বাক্ষর যদিও অস্পষ্ট তবু আমার মনে হয় আমি ঠিকই উদ্ধার করিয়াছি।)
আমি চীফ জেলার মিঃ সলােমনকে যে পত্রখানি পাঠাইয়াছিলাম উহার ভাষা উদ্ধত বা অসৌজন্যমূলক ছিল বলিয়া আমার বােধ হয় না। প্রায় আড়াই বৎসর যাবৎ বেঙ্গল অর্ডিনান্সে আমাকে আটক করিয়া রাখা হইয়াছে এবং বাঙ্গলা ও বর্মা দেশের বিভিন্ন জেলে আমাকে কাটাইতে হইয়াছে। আজ সকালে মিঃ সলােমনকে যেভাবে লিখিয়া পাঠাই ঐ ভাবেই অন্যান্য জেলের কর্ত্তৃপক্ষের নিকটও আমার প্রয়ােজনের কথা বরাবর লিখিয়া আসিয়াছি। এমন কি রেঙ্গুন জেলেও, যেখানে আমাকে দেড় মাসের উপর থাকিতে হইয়াছে, সেখানেও আমি প্রায় প্রত্যহই ঐ একই ভাবে লিখিয়া পাঠাইয়াছি। কিন্তু কেহ এরূপ মন্তব্য করিয়াছেন বলিয়া আমি কখনও শুনি নাই বা দেখি নাই যে, আমার ভাষা অসৌজন্যমূলক কিংবা Major Flowerdew যাহাকে হুকুম বলিয়াছেন সেরূপ ‘হুকুম’ আমি কখনও কাহাকেও করিয়াছি।
আমি বিনীতভাবেই একথা বলিতে চাই যে, আমার ইংরাজী ভাষার জ্ঞান একেবারে সামান্য নহে; নতুবা আমি ১৯২০ সালে আই সি এস-এর মত একটা প্রতিযােগিতামূলক পরীক্ষায় ইংরাজী রচনায়
২৭২