বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 গয়না। এরই মধ্যে করে নাও মালোমিয়া। পরে খরচ বাড়লে ওকি আর কিছু দেবে ?” মালোমিয়া চলিতে চলিতে ফিরিয়া বলিল, “তা না দিক সাহেব, ও আমায় ভালবাসে।” “বেশ বেশ, খুলী হলুম।” গমনের তালে তালে মালোমিয়ার অঙ্গ প্ৰত্যঙ্গে যৌবনের ঢেউ খেলিয়া চলিল, সাহেব বারান্দা পৰ্য্যন্ত আসিয়া দুই পকেটে হাত ভরিয়া পথের দিকে চাহিয়া রহিলেন,- তারপব টেবিলের উপর হইতে এক গ্লাস হুইস্কি পান করিয়া বুট জুতায় মাটিতে তাল দিতে দিতে গান ধরিলেন,- Lucy Lucy my sweetheart My queen of beauty ঢালু পথে নামিতে নামিতে এক গোছা পাহাড়ী লতা সঙ্গিনীর খোপায় জড়াইয়া দিয়া মালোমিয়া ঈষৎ হাসিয়া কহিল, “সাহেবের বাংলোয় আজ আর আমি যাব না মাথিন, তুই আজ টিফিন নিয়ে যা।” মাথিন হাসিয়া কহিল, “তাহলে গিয়েও আমার কোন লাভ নেই, সাহেবের আজ আর টিফিন খাওয়া হবে না।” কে জানে কেন, তাহার অনুপস্থিতিতে সাহেব কিছু বলে কি না জানিবার জন্য মালোমিয়ার সমস্ত অন্তরে-মনে একটা ব্যগ্ৰ কৌতুহল জাগিতেছিল;-তাই সে অনুনয় করিয়া বলিল, “তা না হোক, তুই একবার যা”ত।” মাথিন একটু হাসিল, একটু বিভ্রহ্মপ করিল, তাহার পর সাহেবের বাংলোর পথে চলিতে চলিতে এক একবার মালেমিয়ার প্রতি একটু কটাক্ষপাতও করিল। মালোমিয়া বাহিরে পথের ধারে একটা পাথরের উপর বসিয়া গুন গুন कब्रिग्रां शॉन त्रिोंन निट । ঘণ্টাখানেক পরে মাথিন ফিরিয়া আসিয়া বলিল, “যা বলেছিলুম, সাহেব কিছু খেলে না। মালোমিয়া।” “কিছু न!। የ” “কিছু না”— <e> [ পৌষ “না খাক, তা তুই অত দেৱী করলি কেন?” । মালোমিয়ার স্বরের উৎফুল্লতা লক্ষ্য করিয়া, মাথিন মনে মনে হাসিল। “কি কোৰ্ব্ব ? সাহেব তার কত কি সুখ দুঃখের কথা কইতে লাগলো, কি ক’রে উঠে আসি বল ? তোর বাপু সাহস আছে, সব পারিস ; আমি কি তা পারি ? আমার দুই ভাই ওর আফিসে কাজ করাচে, আজ যদি তাড়িয়ে দেয়, উপোস ক’রে সবাই মর্বে ।” মালোমিয়া উপহাস করিয়া বলিল, “তা বেশ, খুব ভাব কর ।** “আহা, ভাব কি সাধে করি? না, আমার জন্যেই করি ?” “তবে কার জন্যে ?” ঔদাসীন্যের ভাব দেখাইয়া মাথিন বলিল, “কে জানে বাপু, কি সব বাজে কথা ! তোর আর সে সব শুনে কাজ নেই মালোমিয়া।” কি সে কথা জানিবার একটা উৎকট আকাজকাকে মালোমিয়া সজোরে মনের মধ্যে পিষিয়া মারিতে চেষ্টা করিতে লাগিল ; বাহিরে সে অস্বাভাবিক গাম্ভীৰ্য্যের সহিত মাথিনের পাশে পাশে নীরবে হাটিয়া চলিল। পরদিনও মাথিন সাহেবের বাংলো হইতে ফিরিয়া আসিলে, উভয়ে পথে চলিতে চলিতে মাথিন বলিল, “মালেমিয়া, ভাই, আমার উপর রাগ করিস নি। ;-আমার কি দোষ বল ? সাহেব তোকে এই ব্রুচটা মাথায় পরতে দিলে; বল্লে,-আমার কথায় রাগ ক’রে মালোমিয়া আর আসে না, আর আসবেও না, এইটে তাকে আমার হ’য়ে দিয়ে, আর কাল থেকে তুমি আর মিছে এসো না,-টিফিন আর খাবো না, ভাল লাগে না।” মালোমিয়া নীরবে ক্ৰচটা হাতে লইয়া কোনোদিকে না। চাহিয়া, মোড় ফিরিয়া একেবারে নিজের ঘরে গিয়া দরজা বন্ধ করিয়া দিল । সন্ধ্যার পর কোবাকে আসিয়া বলিল, “মালোমিয়া, শুয়ে যে ? অসুখ করেচে ?” अर्थ-विझ्छ की थांगांथा जश्या कब्रिा भांगशिंद्रा কহিল, “না, অসুখ নয়, তবে খুব ভালোও নয়। আজ আর स्त्रांत्रिं ८इफुांड्या बांबा नl,फूणि बां७,-”