পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ག ) সহম্মদেরও ধৰ্ম্ম ভােব অতিশয় স্বাভাবিক ছিল । তিনি সাধনা বস্থাতে হয়। পৰ্ব্বতের গুহাতে অনেক দিন নির্জন চিন্তাতে ও কঠোর তপস্যাতে যাপন করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু যখনি সিদ্ধিলাভ করিলেন, তখনি তাহার ধৰ্ম্ম নিঃশ্বাস প্ৰশ্বাসের ন্যায় স্বাভাবিক হইয়া গেল। তখন তিনি বিশ্বাসের সুদৃঢ় डूभिव्र উপরে প্রতিষ্ঠিত থাকিয়া জীবন যাপন করিতে লাগিলেন । ফলতঃ এই সকল মহাজনের জীবন আলোচনা করিলেই গীতার একটা বচনের প্রমাণ প্ৰাপ্ত হওয়া যায় । গীতার একটী বচনে আছে :--- নাত্যশ্নতস্তু যোগোহস্তি ন চৈকান্তমনশ্নতঃ । ন চাতিস্বপ্নশীলস্য জাগ্ৰতো নৈব চাৰ্জ্জুন ॥ ১৬ ॥ যুক্তাহারবিহারস্য যুক্তচেষ্টািস্ত কৰ্ম্মসু | যুক্তস্বপ্নাববোধস্ত যোগো ভবতি দুঃখহা ॥ ১৭ { ौडा, ७छे अक्षाग्र । অর্থ-হে অৰ্জ্জুন, যে অত্যন্ত আহার করে বা একেবারে অনাহারে থাকে, যে অতিমাত্ৰ নিদ্রা যায় বা অত্যন্ত জাগরণ করে তাহার যোগ হয় না ; কিন্তু যে ব্যক্তি পরিমিত আহার বিহার, পরিমিত শ্রম, পরিমিত নিদ্রা ও পরিমিত জাগরণ করিয়া থাকে, যোগ তাহারই দুঃখ হানির কারণস্বরূপ হইয়া থাকে ৷” সত্যের সাক্ষাৎ দর্শনের নামই সিদ্ধিলাভ। এই সিদ্ধিলাভ হইলে মানবাত্মা এরূপ তৃপ্তি ও শান্তি লাভ করে যে চিত্ত তখন নিরুপদ্রবে, নিরুদ্বেগে, ধৰ্ম্মের ভূমিতে সৰ্ব্বদা বাস করিতে থাকে।