দিবরাত্রির কাব্য ԳՀ আনন্দ হেরম্বকে প্ৰণাম করে বলল, “তোমার ওসব অদ্ভুত তান্ত্রিক भड डाशि शांन्पि नi भ।” হোরম্বের আশঙ্কা হয় মেয়ের ਆ। মালতী হয়ত রেগে আগুন হয়ে উঠবে। কিন্তু তার পরিবর্তে মালতীর দুঃখই উথলে উঠল । “আগেই জানি কথা শুনবে না ! এ বাড়ীতে কেউ আমার কথা শোনে না। হেরম্ব । আমি এখানে দাসী-বাদীরও অধম । বলতে ওর বাপ, দেখতে কথা শোনার কি ঘটা মেয়ের । আমি তুচ্ছ মা বই তো নাই ।” তার এই সকরুণ অভিযোগে হেরম্বের সহানুভূতি জাগে না। আনন্দ মারি অবাধ্য জেনে সে খুন্সীই হয়ে ওঠে । আনন্দ বাপের দুলালী মেয়ে এ যেন তারই ব্যক্তিগত সৌভাগ্য । আনন্দের সম্বন্ধে প্ৰথমে তার যে আশঙ্কা জেগেছিল এবং পরে যে আশা করে সে এই আশঙ্কা কমিয়ে এনেছিল, তাদের মধ্যে কোনটি যে বেশী জোরালো এতক্ষণ হেরম্ব তা বুঝতে পারে নি। অনাথ এবং মালতী এদের মধ্যে কাকে আশ্রয় করে . আনন্দ বড় হয়েছে সঠিক না জানা অবধি স্বস্তি পাওয়া হেরম্বের পক্ষে অসম্ভব ছিল। আনন্দের অন্তর অন্ধকার, এর ক্ষীণতম সংশয়টিও হেরম্বের সহ্য হচ্ছিল না । মালতীর আদেশের বিরুদ্ধেও তাকে প্ৰণাম করার মধ্যে তার প্রতি আনন্দের যতটুকু শ্রদ্ধা প্ৰকাশ পোল, হেরম্ব সেটুকু তাই খেয়াল করারও সময় পেল না। মালতীকে আনন্দ নকল করে নি। শুধু এইটুকুই তার কাছে হয়ে রইল প্ৰধান । আনন্দের আকারণ ছেলেমানুষী ঔদ্ধত্যে তার দুঃস্বপ্নের ঘোর কেটে গেছে । আনন্দকে চোখে দেখে হোরম্বের মনে যে আবেগ ও মোহ প্ৰথমেই সঞ্চারিত হয়েছিল এতিক্ষণে তার মানের সর্বত্র তা সঞ্চারিত হয়ে তাহ্ম