পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কয়েকটা নিকেশ, হবে। ধারণী একধার থেকে গলা কাটছে। জীবনবাবুদের বলেকয়ে যদি রাজী করানো যায়- ] নন্দ মাথা নাড়ে, সভায় শুধু গবর্নমেন্টকে. গাল দেওয়া হবে গ্যারাষ্ট দিলে হয়তো রাজী হতে পারেন। জগদীশের নামে কিছু বলা হলে ওনার অসুবিধা আছে। কিন্তু তা তো আর ঠেকানো যাবে না ? অন্যেরা, ধরণী-জগদীশদেরও শ্রাদ্ধ করবে। শুভও এরকম সভায় যেতে পারবে না। কাজেই বুঝতে পারছে। তো, এদের নিয়ে কিসের মিটিং করা উচিত ঠিক করতে মিটিং ডেকে তোমার সুবিধা হবে না। কৈলাসদ । শুভ ভিতরে ঢুকে বলে, বাইরে দাড়িয়ে চুপি চুপি তোমাদের কথা শুনছিলাম, কিছু মনে কোরো না । চাষীদের জন্য মিটিং করলেই বাবাকে গাল দেওয়া হয় ? বাবার জন্যই চাষীদের অবস্থা কাহিল হয়েছে ? কৈলাস নীরবে একটা বিড়ি ধরায় । নন্দ যেন তাকে সত্ত্বনা দেবার জন্যই বলে, একা তোমার বাবার জন্য নয় । আরও কতজনে কতভাবে গরীব চাষীর দফা নিকেশ করছে! ধারণী মোটর চাপে না, সেকেলে চালচলন, খুব ধামিক লোক। পারলে ওকে কুটিকুটি করে। ছিড়ে ফেললেও বোধ হয় চাষীদের গায়ের জ্বালা মিটবে না। । একটু ভেবেই নন্দ যোগ দেয়, একদিন সকালের দিকে ধরণীর বাড়ির দিকে যাও না বেড়াতে বেড়াতে ? কারো ঘরে ধান নেই, ঘাড় মটকাতে দেবার জন্য কিভাবে লোকে ভিড় করে গিয়ে ধন্না দেয় দেখতে পাবে। খানিকটা টেরও পাবে লোকের প্রাণে এত জালা কেন । কৈলাস মাথা নেড়ে বলে, তুমি তো বেশ পরামর্শ দিলে ডাক্তার। উনি গেলে কি আর টের পাবেন ? ওরা সব চুপ করে যাবে, ধরণী ওনাকে সম্মান করতে ব্যস্ত হবে। একটু বেশীক্ষণ বসলে সেদিনকার মতো হয়তো খেদিয়েই দেবে সকলকে । কার্জ না পেয়ে সবাই ওনার ওপর চটে যাবে। নন্দ বলে, তা বটে। y