“কী কাজ দেব?”
“তুমি যে ঘড়া কাঁখে করে জল তুলে নিয়ে যাও তারি একটি যদি আমাকে দিতে পার।”
“ঘড়া নিয়ে কী হবে? জল তুল্বে?”
“না, আমি তার গায়ে চিত্র কর্ব।”
মেয়েটি বিরক্ত হয়ে বল্লে, “আমার সময় নেই, আমি চল্লুম।”
কিন্তু বেকার লোকের সঙ্গে কাজের লোক পার্বে কেন? রোজ ওদের উৎসতলায় দেখা হয়, আর রোজ সেই একই কথা, “তোমার কাঁখের একটি ঘড়া দাও, তাতে চিত্র কর্ব।”
হার মানতে হল, ঘড়া দিলে।
সেইটিকে ঘিরে ঘিরে বেকার আঁক্তে লাগ্ল, কত রঙের পাক, কত রেখার ঘের।
আঁকা শেষ হলে মেয়েটি ঘড়া তুলে ধরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখ্লে। ভুরু বাঁকিয়ে জিজ্ঞাসা কর্লে, “এর মানে?”
বেকার লোকটি বল্লে, “এর কোনো মানে নেই।”
ঘড়া নিয়ে মেয়েটি বাড়ি গেল।
সবার চোখের আড়ালে বসে’ সেটিকে সে নানা আলোতে নানারকমে হেলিয়ে ঘুরিয়ে দেখ্লে। রাত্রে থেকে-থেকে বিছানা ছেড়ে উঠে দীপ জ্বেলে