—কেন, নিলুকে না?
—হু।
—আর এক মায়ের নাম কি?
—তিলু।
—তিলু তো হোলো, আর?
—নিলু।
—আর একজন।
—মা।
—আর এক মায়ের নাম বল—
—তিলু মা—
—দূর, তুই বুঝতে পারলি নে, তিলু মা হোলো, নিলু মা হোলো—আর একজন কে?
—বিলু।
—ঠিক।
এখনো সামনে অগাধ বাঁশবনের মহাসমুদ্র। বড্ড অন্ধকার হয়ে এসেচে, আলোর ফুলের মত জোনাকী পোকা ফুটে উঠচে ঘন অন্ধকারে এ বনে ও বনে, এ ঝোপে ও ঝোপে। একটা পাখী কুস্বরে ডাকচে জিউলি গাছটায়। বনের মধ্যে ধুপ করে একটা শব্দ হোলো, একটা পাকা তাল পড়লো বোধ হয়। ঝিঁ ঝিঁ ডাকচে নাটা-কাঁটার বনে।
খোকা আবার ভয়ে চুপ করে আছে।…
এমন সময়ে কোথায় দূরে সন্ধ্যার শাঁখ বেজে উঠলো। খোকা চোখ ভালো করে না চেয়ে দেখেই বললে—দুগ গা, দুগ গা—নম নম—
ওর মায়েদের দেখাদেখি ও শিখেচে। একটুখানি চেয়ে দেখলে, চারদিকের অন্ধকার নিবিড়তর হয়েচে। ভয়ের সুরে বললে—ও ভবানী—
—কি বাবা?
—মার কাছে যাবো—ভয় করবে।