পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। বিদ্যাশিক্ষা ও কলিকাতায় আগমন । ১৮৫৬ সালের আষাঢ় মাসে শিবনাথ বিদ্যাশিক্ষার জন্য কলিকাতায় আগমন করেন। যে সময়ে শিশু পিতামাতার স্নিগ্ধ কোলে সুখের বাল্যকাল কাটায়, সেই সময়ে তিনি জননীর ক্রোড় হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া, কলিকাতা শহরের পুতিগন্ধময় এক গলির ভিতর নির্বাসিত হইলেন। কোথায় বা পল্লিগ্রামের সিন্ধ শু্যামল ছায়া, বালকসঙ্গীদিগের সহিত খেলাধূলা, আদরের পশুপ্ৰাণী, বোন উন্মাদিনী, সাধের বিড়াল কুকুর ও পাখী ! শিবনাথ যাদের প্রাণের মত ভালবাসিতেন তাদের সঙ্গে এই বিচ্ছেদ বড়ই বিষম বোধ হইল। তখনকার কলিকাতা অতি ভয়ঙ্কর স্থান ছিল, যে আসিত সেই পীড়িত হইয়া পড়িত । শিবনাথও আসিয়া পীড়িত হইয়া পড়িলেন, তাহার মাতাকে সে সংবাদ দেওয়া হইল না । রোগমুক্ত হইলে তঁহাকে বিদ্যালয়ে পাঠাইবার কথা উঠিল। হরানন্দের ইচ্ছা ছিল যে, পুত্রকে ইংরাজি শিক্ষার জন্য ডেভিড হেয়ারের স্কুলে দেন। কিন্তু কাৰ্য্যতঃ তাহা ঘটয়া উঠিল না । ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর মহাশয় হরানন্দের বিশেষ বন্ধু ছিলেন। তিনি তখন সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ, তাহার পরামর্শেই শিবনাথকে সংস্কৃত কলেজে ভৰ্ত্তি করা হয়। মাতুল দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণও। তখন সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। হরানন্দ শৰ্ম্মার পরামর্শানুসারে পুত্রকে ডেভিড হেয়ার স্কুলে ভত্তি করা হইল না, তিনি সংস্কৃত কলেজে ভক্তি হইলেন।