পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゲー。 শিবনাথ-জীবনী । ভাবে নিজ কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্য ভাবিয়া কাজ করিতে দৃঢ়প্ৰতিজ্ঞ হইলাম। এবং সেই ঘোর মনযন্ত্রণার সময় আপনা হইতে ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা আরম্ভ করিলাম। ক্রমে গোপনে ও প্ৰকাশ্যে সমাজে গিয়া ঈশ্বরোপাসনা করিতে আরম্ভ করিলাম বাবা কলিকাতায় আসিলেন ও আসিয়া আমাকে সমাজে যাইতে নিষেধ করিলেন, আমি তখন মনের কষ্টে একপ্ৰকার ক্ষিপ্তপ্ৰায় হইয়াছিলাম, সুতরাং রুক্ষ্মভাবে বাবাকে আমার দৃঢ়প্ৰতিজ্ঞা জানাইলাম। সেই আমার প্রথম অবাধ্যতা । আমার আজিও মনে আছে, বাবা সেদিন মনে কি ক্ষোভ পাইয়াছিলেন ও কাদিয়া ছিলেন। যে পুত্র এত বাধ্য ছিল যে দাড়াইয়া মারা খাইতে খাইতে অজ্ঞান হইয়া পড়িত, তথাপি একবারও পালাইবার চেষ্টা করিত না, যে পুত্র এত বাধ্য ছিল, যে তাহার অনুরোধে মস্তকে চিরজীবনের যন্ত্রণা লাইতে কুষ্ঠিত হইল না-সেই পুত্রের অবাধ্যতা নিশ্চয় বাবার প্ৰাণে সেদিন বড় লাগিয়াছিল । যাহাহউক বাবা একপ্ৰকার হতাশ হইয়া ঘরে ফিরিয়া গেলেন । * * * তারপর দুইবৎসরের মধ্যে বিশেষ কোন অবাধ্যতা মনে হয় না । কেবল বাবা কয়েকবার কালীনাথ বাবুদের বাড়ীতে উপাসনা করিতে যাইতে নিষেধ করেন, আমার কৰ্ত্তব্য বোধ হওয়াতে যাই। পরে মহালক্ষ্মীদের সঙ্গে থাকা, এবিষয়ে বাবা আমাকে বিশেষ করিয়া নিষেধ করেন, আমি শুনি নাই। কারণ পূর্বে তাহাদিগকে যথাশক্তি সাহায্য করিবার প্রতিজ্ঞা করিয়া বিপদের সময় ছাড়িয়া যাওয়া নিতান্ত অকৰ্ত্তব্য বিবেচনা করিয়াছিলাম। ফলতঃ সে সময়ে যে বাবার আজ্ঞা পালন করিতে সাহসী হইয়াছিল। তেজন্য আনন্দিত আছি।