পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায় । >82 শিবনাথের গৃহে প্ৰতিষ্ঠিত ভবানীপুর ব্ৰাহ্মসমাজের একজন সভ্য দক্ষিণেশ্বরে বিবাহ করিয়াছিলেন। তিনি প্রায়ই শ্বশুরবাড়ী যাইতেন, এবং পরমহংস দেবের আশ্চৰ্য্য বিবরণ শিবনাথকে 憩都孙f国夺甲 আসিয়া সর্বদা বলিতেন । কালীমন্দিরের সামান্য পরমহংসদেব একজন পূজারি হইয়া তিনি ধৰ্ম্মলাভের জন্য কি কঠোর সাধনা করিয়াছেন, তাহা ভক্তি গদগদ কণ্ঠে শিবনাথের নিকট বর্ণনা কবিতেন । এমন আশ্চৰ্য্যা সাধককে দেখিবার জন্য শিবনাথ সংকল্প করিলেন । কি আশ্চৰ্য্য, ঠিক সেই সময় কেশবচন্দ্র পরমহংস দেবের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া কি প্রকার প্রীতি ও চমৎকৃত হইয়াছিলেন, মিবারে তার এক বর্ণনা প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। সেই প্ৰবন্ধ পাঠ করিযা ত্বরায় বিলম্ব না করিয়া শিবনাথ সেই বন্ধুটীর সঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে পরমহংস দেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে গেলেন । প্ৰথম সাক্ষাতের দিন হইতে উভয়ে উভয়ের মন কাড়িয়া লইলেন। বাস্তবিক শিবনাথ এই আশ্চযা সাধককে দেখিয়া মুগ্ধ হইয়া গেলেন। বামীরুষঃ দেব ধৰ্ম্মসাধনের জন্য যে প্রকার ক্লেশ স্বীকার করিয়াছেন, এ যুগে আর কেহ তেমন করিতে পারে নাই বলিয়া শিবনাথের বিশ্বাস ছিল । কঠোর সাধনার ফলে তিনি একদা ক্ষিপ্তপ্ৰায় হইয়া গিয়াছিলেন, এবং চিরদিনের জন্য মূৰ্ছারোগগ্ৰস্ত হন। শিবনাথ তার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গেলেই, আনন্দে অধীর হইয়া ছুটয়া আসিতেন, এবং কখন কখন তৎক্ষণাৎ মূৰ্চিত হইয়া শিবনাথের বুকের উপর পড়িয়া যাইতেন। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের প্রভাব শিবনাথের জীবনে সামান্য হয় নাই । রামকৃষ্ণের প্রভাবে শিবনাথের মনে উজ্বল ভাবে