চীন ভ্রমণ।
রেঙ্গুনের পথে
ভোর ৬টার সময় কলিকাতা বন্দর হইতে জাহাজখানি ছাড়িল। যাঁহারা আমাকে তুলিয়া দিতে আসিয়াছিলেন তাঁহারা তীর হইতে চাদর দোলাইয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন। আমি কখনও সমুদ্রযাত্রা করি নাই, -এই প্রথম। মনে এক অনির্ব্বচনীয় ভাব আসিল। তাহা ভয় নয়, দুঃখ নয়, আনন্দও নয়, -একরূপ অনিশ্চিত ভাব।
যখন জাহাজ ছাড়িল, তখন আমি কেবিনে জিনিষপত্র রাখিয়া ড়েকের উপর দাঁড়াইয়াছিলাম। অত বড় প্রকাণ্ড জাহাজখানির গতি মোটেই বুঝা গেল না। কেবল এঞ্জিনের শব্দ ও জলের আন্দোলন হইতে বুঝা যাইতে লাগিল জাহাজ খানি চলিতেছে। হাইকোর্ট, ইডেন গার্ডেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন ইত্যাদি ছাড়াইয়া জাহাজ খানি ধীরে ধীরে সাগরের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল। দুই তীর ব্যাপিয়া কত বাড়ী ও কল-কারখানা; সকলগুলিই বিদেশীয়দের; একটাও দেশীয় লোকদের নহে।
কলিকাতা হইতে গঙ্গার মোহনা ৯০ মাইল দূরবর্ত্তী। জাহাজখানি ঘণ্টায় ১৫ মাইল যায়। সুতরাং ৬ ঘণ্টায় সমুদ্রে পৌঁছিবার কথা। কিন্তু তা না হইয়া আমাদের “সাগর পয়েণ্ট” পৌঁছিতে প্রায় ৯ ঘণ্টা লাগিল। তাহার কারণ, গঙ্গার মোহনায় বিস্তর চড়া আছে বলিয়া,