《心 दिख-वनस्ठ । পরিত্যাগ করিল, তবে জীবিত থাকিয়া আমার আর কি সুখ আছে । এই জলাশয়ে প্ৰবেশ করিয়া শোকানল নিৰ্বাণ করি। তিনি এই স্থির করিয়া জলমগ্ন হইতে উপক্ৰম করিলেন । নিকটে এক পরমহংসের আশ্রম ছিল। সেই সাধু তখন বন-পৰ্যটনে গমন করিয়াছিলেন ; ভাগ্যক্রমে তৎকালে সেই স্থলে উপস্থিত হইলেন এবং দূর হইতে বিজয়চন্দ্রের অভিসন্ধি বুঝিতে পারিয়া, “সর্বনাশ! ও কি! ও কি কর!” এই শব্দ করিতে করিতে ত্বরায় নিকটবৰ্ত্তী হইয়া বিজয়চন্দ্রের হস্তধারণপূর্বক কহিলেন, এ কি ! এ কি কর! আত্মহত্যা মহাপাতক, ৰিস্কৃত হইয়াছ ? তুমি কি জান না, আত্মহত্যাকারী অপেক্ষা পাপাত্মা আর নাই। বিজয়চন্দ্ৰ কহিলেন, ভগৰন! আমার জীবন অগ্ৰে যাত্ৰা করিয়াছে, এক্ষণে শূন্য দেহ জলমগ্ন করিতে যাইতেছি, ইহাতে আত্মঘাতী পাতকী হইব কেন ? এইমাত্ৰ কহিতে কহিতে শোকাচ্ছন্ন হইয়া ঝটিকেন্মলিত-তরুতুল্য 6श्रांनशशी क्षेळलन । পরমহংস ব্যতিব্যস্ত হইয়া বিজয়চন্দ্রকে হস্ত ধরিয়া তুলিলেন এবং অনেকপ্ৰকার সান্তুনা করিয়া কহিলেন, বৎস! মৃত শিশুটির লক্ষণ দেখিয়া আমার বিলক্ষণ অনুমিতি হইতেছে, উহার মৃত্যু হয় নাই। তবে কি না বিষাক্ত ফল অথবা বিষপত্র ভক্ষণে এরূপ ঘটনা হইয়া থাকিবে । ইহার প্রতীকার সত্বরেই হইতে পারে। এ নিমিত্ত এত ব্যাকুল হইতেছ। কেন ? বোধ হয়, জগদীশ্বর অবিলম্বেই বিপদ ভঞ্জন করিবেন। এই বলিয়া তিনি
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৬০
অবয়ব