বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চীন ভ্রমণ - ইন্দুমাধব মল্লিক.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



পিনাঙ।

[দ্বিতীয় প্রস্তাব]

 কি জানি কেন, যত যায়গায় গেলাম, তথাকার সকলকে ভারতবাসী অপেক্ষা সুস্থ শবীর, সন্তুষ্টচিত্ত ও সুখী বলিয়া মনে হইতে লাগিল। তাদের বুদ্ধি কম; সুতরাং উচ্চাশাও কম। আর উচ্চাশা নাই বলিয়া তাদের মনের অসন্তুষ্ট ও অশান্তিও নাই। অপূর্ণ উচ্চাশা হইতেই মনে অশান্তি আসে; তাই ভারতবাসীর শরীর এত অসুস্থ,—মন এত দুর্ব্বল। মালয় চীনেম্যানের সে অশান্তির ছায়া মোটেই পড়ে নাই। তাই তাদের শরীর এত সুস্থ ও দেহ এত সবল।

 এ সকল অঞ্চলের যত লোক-ব্রহ্মবাসী, মালয়, চীনেম্যান বা জাপানী,—সকলেরষ্ট শরীরের গঠন ও রীতি-নীতির অনেকটা মিল আছে। সকলেই মঙ্গোলিয়ান জাতিভুক্ত। গালের হাড় উচু; চোখগুলি ছোট ছোট ও ঈষৎ বাঁকা, রংটি ফ্যাকাসে; মুখে লোম অতি অল্প জন্মে এবং চুলগুলি লম্বা ও সোজা। ইহাদের সকলেরই প্রধান খাদ্য ভাত ও মাছ। ময়দার বড় একটা ব্যবহার নাই। প্রায় সকলের ধর্ম্মেই অল্পবিস্তর বৌদ্ধ-ধর্ম্মের সংমিশ্রন আছে। বোধ হয় তাহাদের দেশে শুকনা মাছ খাওয়ার এত যে প্রচলন,তাহাও “অহিংসা পরমো ধম্মঃ” হইতে উৎপন্ন। নিজ হাতে প্রাণীহত্যা করিতে নাই,কিন্তু অন্যে মারিয়া দিলে খাইবার কোন আপত্তি নাই! সকলেরই ঢলঢ'লে পোষাক। অধিকাংশ লোকই আফিং ও চা-সেবী। সকলেই যেন চীনেম্যানের অনুকরণ করে। স্ত্রীলোকেরা চুল লইয়া ব্যস্ত। তাহারা পরিপাটী করিয়া খোঁপা বাধে ও সেই খোঁপাটী অনাবৃত রাখে এবং