পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-স্বপ্নদর্শন— বিদ্যা বিষয়ক ৪৯ বৃক্ষারূঢ় হইয়াও পুনর্বার অধঃপতিত হন। কিন্তু যে ব্যক্তি একবার এই রমণীয় কাননের ফল ভোগ করিয়াছেন, তিনি আর কদাপি তাহার আস্বাদন বিস্মৃত হইতে পারেন না। আমি তোমাকে ক্রমে ক্রমে সমুদায়॥ দর্শাইতেছি, চল। ঐ যে অদৃষ্ঠ্য মনোহর বৃক্ষ সম্মথে দৃষ্টি করিতেছ, বাহার সতেজ শাখাসমুদায় সুমধুর-রসদ্দীতফল-ভরে অবনত হইয়াছে যাহার স্কন্ধ হইতে সুধাময় মধু-ধার। সকল অনবরতই ক্ষরিতেছে ও সুকুমার-মতি তরুণ যুবকেরা যাহাতে সুথে আরোহণ করিতেছে, উহার নাম —‘কাব্য-তরু ’। দেথিয়াছ, অলস্কৃতি-কাপ কি অপূৰ্ব আশ্চর্য্য রমণীয় লতা তাহাকে পরিবেষ্টন-পূৰ্বক সুশোভিত করিয়া রাখিয়াছে। এ বৃক্ষ হইতে কিছু দূরে, যে প্রকাণ্ড তেজস্বা বৃক্ষ দেখিতেছ, ধীর প্রবীণ ব্যক্তিরা যাহার সেবা করিতেছেন, তাহার নাম —‘জ্যোতিষ’ ” ইহা কহিয়া বিষাদেবী ঐ বৃক্ষের অশেষ গুণ ব্যাথা করিতে লাগিলেন। তাহার। বাক্যাবসান হইলে, আমি জ্যোতিষ-তরুর নিকটবর্তী। হইয়া দেথিলাম, পূর্বোক্ত পণ্ডিতসমুদায় এক এক বার প্রগাঢ়রূপ মনোনিবেশ-পূৰ্বক ধ্যান-পরায়ণ হইতেছেন, আর বার প্রসন্ন বদনে হাস্ত করিয়া, অতুল আননন্দ প্রকাশ করিতেছেন॥ পরন্তু আর এক অসাধারণ ব্যাপার দেখিয়াসাতিশয় বিস্ময়াপন্ন হইলাম। ঐ বৃক্ষের মূল মৃত্তিকাসংযুক্ত নহে; আর এক প্রকাও প্রাচীন বৃক্ষের স্কন্ধ হইতে উৎপন্ন হইয়াছে। আমি এই শেষোক্ত তরুর গায়। সারবার্ন ক্ষ আর একটিও দৃষ্টি করি নাই। তাহার কোন স্থানের কণামাত্রও ক্ষয় নাই ও কুত্রাপি একটিমাত্র ছিদ্র কিংবা চিহ্ন নাই। আমি এই অভূত তরুর বিষয় সবিশেষ জানিবার জষ্ঠ্য পরম কৌতুহলী হইয়া, বিদ্যাদেবীকে জিজ্ঞাসা করিলাম। তিনি কহিলেন, —*এই সারবান অক্ষয় বৃক্ষের নাম—‘গণিত’। তুমি কেবল। সম্মুখবর্জী জ্যোতিষ-তরুর