বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রসমঞ্জরী - ভারতচন্দ্র রায় (১৮৫৩).pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
রসমঞ্জরী।

এ বড় অপূর্ব্ব রঙ্গ, ধর্ম্ম ভয় হয় না॥ যাইতে সঙ্কেত স্থান, সদত আকুল প্রাণ, জ্ঞান মান অপমান, কিছু মনে লয় না। ব্যক্ত হলে কালামুখ, শয়নে নাহিক সুখ, রমণেতে নানা দুঃখ তবু ক্ষমা হয় না॥

অথ বৈশিক নাগর।

 গিয়াছিনু সরোবরে, স্নান করিবার তরে,দেখিয়াছি এক জন অপরূপ কামিনী। চক্ষু মুখ পদ্ম ছন্দ, কিবা ছন্দ কিবা বন্ধ, নীলাম্বরে ঝাঁপে তনু মেঘে যেন দামিনী॥ ঈশ্বর সদয় হন দূতী মিলে এক জন, এইক্ষণে তার কাছে যায় দ্রুত গামিনী। যত চাহে দিব ধন, দিব নানা আভরণ, কোন মতে মোর সঙ্গে বঞ্চে এক যামিনী॥

অথ নায়কদিগের উত্তমাদি ভেদ।

 উত্তম মধ্যম আর অধম নিয়মে। নায়িকার যেই ক্রম নায়ক সে ক্রমে॥ বাসসজ্জা আদি নায়িকার ভেদ যত। নায়কে সে ভেদ হয় লক্ষণ সম্মত॥ উপপতি বৈশিকেতে সকলি বিদিত। পতি প্রতি রসাভাষ কেবল খণ্ডিত॥ স্বকীয়ার রসাভাষ জান অভিসার। পতির খণ্ডিত ভাব তেমতি প্রকার॥ সর্ব্বজন সুসম্মত আরভাব সব। উদাহরণেতে দেখে করে অনুভব॥

অথ বাসক সজ্জা।

 শয়ন সময়, বন্ধু রসময় করে রমণীর মোহন সাজ। অন্য কার্য্য ছলে ঘরে চলে, সাধিতে আপন গোপন কায॥