ফেণবৎ ক্ষণধ্বংসী মানবের কায়,
অলীক রূপের ছটা—মরীচিকা প্রায়,―
এই জ্ঞান আছে যার' নিশ্চয় সেজন
কামের কুসুমশর করিয়া ছেদন,
অবাধে ধর্ম্মের পথে হয় অগ্রসর
মৃত্যুরাজ হ'তে তা'র নাহি কোন ডর॥ ৩॥
ন্তরিত হইয়াছিল। পরে যখন ক্রমে ক্রমে পঞ্চতন্ত্র প্রভৃতি পুস্তক আরবীয় প্রভৃতি নানা বৈদেশিক ভাষায় অনুবাদিত হইতে লাগিল তখন বৌদ্ধমত ও বৌদ্ধ গল্পগুলি ক্রমে পাশ্চাত্য জগতে প্রবেশ লাভ করিল। সংস্কৃত শ্লোক পূর্ব্বে কিম্বা শ্লোকপালি পুর্ব্বে, এই কথা লইয়া অনেক তর্ক আছে, এস্থলে তাহার অবতারণায় প্রয়োজন নাই। সম্ভবতঃ সংস্কৃত হইতে পালিতে এবং পালি হইতে সংস্কৃতে এই উভয় প্রকারেই শ্লোক অনুবাদিত হইয়াছিল। বর্ত্তমান স্থলে মহাভারতান্তর্গত শান্তি পর্ব্বের একটি শ্লোকের ছায়া গৃহীত হইয়াছে। সেই মূল শ্লোকটি এইঃ—
পুষ্পাণীব বিচিন্বন্তং অন্যত্র গত মানস
অনবাপ্তেযু কামেষু মৃত্যুরভ্যেতি মানবম্॥