পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృU08 t খণর বচন আছে সাপ স্বপ্ন ফে{ণ । দেখিয় যে না ফুকারে মুনি সেই জন ॥ অসত্তব দেখিলে না কহে বিজ্ঞজনে । মনের মনন কথা থাকু মনে মনে ॥ কি শুনিবা অধিক জানা’ব কিব। তার । আজ কোন মহাভাগ হইল উদ্ধার ॥ শুনিয়াছ ভারত পুরাণ রামায়ণ । শাপ ভ্ৰষ্ট ভবে জন্মে কত মহাজন ॥ কোন মহা পুরুষের শাপে কোন জন। স্থান ভ্রষ্ট হ’য়ে থাকে পৰ্ব্বত কানন | যক্ষমুনি সাপে গন্ধকালী ভবে এসে । কুস্তিরিণী মুক্তি পেল হনুমান স্পর্শে। অদ্য কোন মহাভাগ হইল উদ্ধার । বহিরঙ্গ লোক মাঝে না কর প্রচার ॥ মহা প্রভু কহিলেন গোলোকের স্থানে । এ সময় যাহারা ছিলেন সন্নিধানে ॥ গোস্বামীর পদ ধরি তাহারা জিজ্ঞাসে । এড়াইতে না পরিয়া গোস্বামী প্রকাশে ॥ ত্রেতা যুগে সূৰ্য্যবংশে রাজা অযোধ্যায়। ব্রাহ্মণের পাদোদক ভক্তি করি খায় ॥ একদিন ভগবান তারে ছলিবারে । ব্রাহ্মণ বেশেতে যান ত্রিশঙ্কুর দ্বারে ॥ কুষ্ঠ ব্যাধি গ্রস্থ বিপ্ৰ হ’লেন কানাই । ভাগবতে দ্বাদশ প্রস্তাবে আছে তাই ॥ ব্রাহ্মণের পাদোদক হাতে ধরি নিল । তার মধ্যে ক্লেদ কীট দেখিতে পাইল । ঘৃণা করি না খাইল থুইল মাথায় । সেই অপরাধে সর্প যোনী প্রাপ্ত হয় ॥ সেই জন্য কৃষ্ণ পদ পাইল মাথায় । প্রভু কৃষ্ণ ব্ৰজে কালীনীগ কালীদয় ॥ না চিনিয়। ভগবানে করিল দংশন। মস্তকে চরণ দিল প্ৰভু জনাৰ্দ্দন ॥ অদ্যাবধি মস্তকেতে প্রভু পদ চিন্তু । যদ্যপি সে সর্প তবু ত্রিভুবন মান্ত ॥ কালীনাগ কৃষ্ণপদ করিয়া ধারণ । বলে প্ৰভু তোমার যে রাতুল চরণ ॥ ভাবিয়া ন পায় পদ ব্ৰহ্ম পঞ্চানন । পদ লাগি শিব করে শ্মশাণে ভ্রমণ ॥ সেই পদে বিষ দন্তে দংশিলাম আমি । এ পাপেতে হতে হয় বিষ্টা কুণ্ড কৃমি ৷ ॐडीशब्रिजीज्ञाझूठ । | দিয়tছ অভয় পদ বাঞ্ছ। নাহি অণর । কত সুখ পাইতাম হ’লে নরাকার ॥ ওহে প্রভু নরবপু যদি পাইতাম । মনোসাধ মিটাইয়া পদ সেবিতাম ॥ কবে হ’বে হেন ভাগ্য তুমি সানুকূল। শুনিয়াছি নর বপু ভজনের মূল । এই অপরাধ প্রভু আমার ঘুচাও । দয়া করি ওহে হরি নরবপু দেও ৷ তারে বর দিল সেই নররূপ হরি। এর পর শ্রেষ্ঠ লীলা যে সময় করি ॥ জাতি সৰ্প খল দংশী অদ্য তাতে পাপ । পরজন্মে আবার হইতে হবে সাপ ॥ . গুপ্ত ভাবে থেক গিয়া বিলে পদ্ম বলে । পিতা যশোমন্ত গৃহে জন্মিব যখনে ॥ রুদ্র অংশে জনমিবে আমার সেবক । পরম ভকত সেই নামেতে গোলোক ॥ যেদিন হইবে দেখা তাহার সঙ্গেতে । বিষ্ণু লোকে যাবে সুখে চড়ে পুষ্পরথে । বিষ্ণু পারিষদ হ’বে বলিলাম তাই ॥ পাইবা সালোক্য মুক্তি এক লোকে ঠাই ॥ সেই কালীয়ার প্রাপ্তি হ’ল বিষ্ণুলোক । কণর কাছে না কহিও বাপরে গোলোক ॥ এই কথা যে সময় শুনিল গোলোক । নিভৃতে বলিল প্রভু শুনিল তারক। দশরথ তাহ জানি লিখি পাঠাইল । সে লেখা দেখিয় তাহা তারক রচিল ॥ ভক্ত নায়েরীর মহোৎসব । পয়ার । নায়েরী নামেতে নারী কলাতলা বাস । পরম বৈষ্ণরী দেবী হরি পদে আশ ॥ বালিকা বিধবা দেবী শুদ্ধ। তদবধি । সাধু সেবা কৃষ্ণ সেবা করে নিরবধি । ঠাকুরের ভক্তগণ যায় তার বাসে । ঠাকুরের নাম শুনে প্রেমানন্দে ভাদে ॥ সবে বলে ওঢ়ার্কাদি স্বয়ং ভগবান । তাহ শুনি নায়েরীর কেন্দে উঠে প্রাণ ॥ ঠাকুরে দেখিব বলে চিত্ত উচাটন । উদ্দেশে করিল দেবী আত্ম সমর্পণ |