পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাকুর বলেন মোরে-যে দিয়াছে মন । মোর মনে দোষ কার্য্য করেন। কখন ॥ প্রভু তবে পাগল গোলোক চাদে কয়। যা দেখি গোলোক তুই গঙ্গাচর্ণ গায়। নিজামৰ্কাদির ভক্ত গোবিন্দ নামেতে । সদা কাল থাকে সেই গোলোকের সাথে ॥ তাহার নিকটে মহানন্দ জিজ্ঞাসিল। ইতি উতি ভাবে কত অনেক কহিল ॥ মহানন্দ কহে তাহ গোস্বামী পাগলে । পাগল কহেন তবে মহানন্দ স্থলে ॥ আমাকে যাইতে সেই গঙ্গাচর্ণ গ্রাম। শ্ৰীযুখে বলেছে প্ৰভু থাকিয়া শ্ৰীধাম ॥ সেই হ’তে যাব যা’ব ভাবিতেছি মনে। নং ঘাইয়। অপরাধী হৈ প্ৰভু স্থানে। এই আমি চলিলাম ঠাকুর ভাবিয়া । বা কর তা কর মম সঙ্গেতে থাকিয় ॥ গোস্বামী চলিল তবে দিয়া হরিবোল। শম্ভুনাথ গৃহ গিয়া বসিল পাগল ॥ গোস্বামীর শব্দ শুনি সে রাইচরণ । প্ৰণমিয়া বলে চল আমার ভবন ॥ শম্ভুনাথ ভাৰ্য্য। ব’সে পাগলের ঠাই । মা ! মা ! বলিয়। তারে ডেকেছে গোসাই ॥ পাগল বলেন যা’ব তোমার আলয় । ম। যদি করেন আজ্ঞা তবে যাওয়া যায়। শুনিয়া রাইচরণ হইল উন্মনা। গোসা করি ফিরে এল পাগলে ড্রাকেন। বিমর্ষ হইয়া রাই নিজ গৃহে গেল! চেয়ে দেখে গৃহমধ্যে বসেছে পাগল । রাইচরণের ভার্ষ্য। কদমী নামিনী । অপরে দোসর। তার নাম কাদম্বিনী ॥ পাগলের নিকটেতে বসিয়া রয়েছে। পদ ধৌত করি সেবা সুশ্রষায় আছে। তাহা দেখি রাই মুখী হইল সন্তোষ । ঘুচে গেল মনেতে যা হ’য়েছিল দোষ ॥ রাইচরণকে ডেকে কহিছে গোসাই । গোলোকেরে ডাকিয়৷ আনহ মম ঠাই ॥ তাহ শুনি ভাবে রাই এ আর কেমন । কীৰ্ত্তনীয়। আসিবেক কিসের কারণ ॥ যার দ্বারা মনের ঘুচিয়া যাবে কষ্ট । ” তাহার দ্বারায় মন আরো হয়ে নষ্ট ॥ মধ্য খণ্ড । >Q> - মনে ভাবে ডাকিব সে যাহাতে না আসে। সে ভাবে সংবাদ দিল গোলোকের পাশে ॥ কীৰ্ত্তনীয়া নাহি এল পাগল যথায় । এল ন বলিয় রাই সংবাদ জানায় ॥ গোস্বামী বলেন রাই বুঝিয়াছি মনে । আসিতে দিলেন তুমি সে আসিবে কেনে। রাই তাই শুনিয়া বিক্ষিত হৈল মনে । মনে যা ভেবেছি প্রভু জানিল কেমনে ॥ পাগল বলেন রাই মনে কি ভাবিস্। এই সব উল্টা কল তুই কি বুঝিম্ ॥ লক্ষ্মীকান্ত টীকাদার ছিল সমিস্ত্যরে । ক্রোধেতে পাগল তারে দুই লাথি মারে ॥ মার খেয়ে লক্ষ্মীকান্ত ভাবে হ’য়ে ভোর । বলে হারে দুষ্ট ভাল শাস্তি হৈল তোর ॥ রাইচরণকে কহে পাগল তখন। করহ কদলী তরু প্রাঙ্গণে রোপণ ॥ " কলা গছ এনে ত্বরা ফেলিল সেখানে । গৰ্ত্ত করে রোপণ করিল সে উঠানে । পাগল কহিছে তুই মানুষ বিদিক । এ কার্য্য করিতে রাই নাহি পাবি ঠিক ॥ | লক্ষ্মীকান্ত টিকাদার ছিল যে সঙ্গেতে। | তাকে বলে কলা গাছ রোপণ করিতে ॥ : লক্ষ্মীকান্ত করিতেছে মৃত্তিকা খনন। রাই কহে পাগল ইহা করে কি কারণ ॥ লক্ষ্মীকান্ত বলে করি পাগল যা বলে। বোধ করি এখানে হইবে রাসলীলে ॥ এ হেন সময় শম্ভুনাথের ভবনে । অনেক লোকের আগমন সেইখানে ॥ কীৰ্ত্তনীয়া মহাশয় সঙ্গেতে তাহার। নাম সংকীৰ্ত্তন করে হয়ে মাতোয়ারা ॥ হুঙ্কার করিয়া হরি বলেছে পাগল । জয় হরি বল মন গৌর হরি বল । শস্তৃর বাটতে যত লোক সমারোহ। . জ্ঞানশূন্ত অচৈতন্য সবে গেল মোহ ॥ আরোপিল রন্ত। তরু উঠানের পাশে । চতুর্দিক বেড়ি ঘুরে মনের হরিখে ॥ লক্ষ্মীকান্ত বলে রাই করহ বিশ্বাস । বিশ্বাস করহ যদি এই মহারাস ॥ শস্তুর বাটতে সবে যাইয়া দেখহ । কীৰ্ত্তন করিতে সব হইয়াছে মোহ।