ছিল, এবং এই প্রচেষ্টার ফলে নানাস্থানে নাগরিক বা প্রাদেশিক গণতন্ত্রের (Republics) আবির্ভাব হইয়াছিল। এই সকল ক্ষেত্রে রাজা বংশানুক্রমিক বা নির্ব্বাচিত প্রেসিডেণ্টরূপে পরিণত হন অথবা কোথাও রাজার অস্তিত্বই একেবারে উঠাইয়া দেওয়া হয়। জনসাধারণের সভার স্বাভাবিক ক্রমবিকাশের ফলেই কোথাও কোথাও এই সব গণতন্ত্রের আবির্ভাব হইয়াছিল, আবার কোথাও বা প্রজাগণ রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করিয়া গণতন্ত্রের স্থাপনা করিয়াছিল, রাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের ক্রমাগত ভাগ্য-বিপর্য্যয়ও হইয়াছিল। ভারতের কোন কোন জাতির মধ্যে গণতন্ত্রই শেষ পর্য্যন্ত জয়লাভ করে এবং বিশেষ দক্ষতার সহিত রাষ্ট্রশাসন পরিচালিত করিয়া শত শত বৎসর অক্ষুন্ন থাকে। সেগুলি কোথাও লোকতান্ত্রিক সভার দ্বারা আবার কোথাও মুখ্যতান্ত্রিক পরিষদের দ্বারা শাসিত হইত। দুঃখের বিষয় এই সকল ভারতীয় গণতন্ত্রের সংগঠন প্রণালী আমরা খুব কমই জানি এবং তাহাদের অভ্যন্তরীন ইতিহাস আমরা কিছুই অবগত নহি। তবে তাহাদের শাসন প্রণালীর উৎকর্ষতা এবং তাহাদের সামরিক ব্যবস্থার দুর্ব্বার দক্ষতার খুবই সুখ্যাতি যে সমগ্র ভারতে ব্যাপ্ত ছিল সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ প্রমাণ পাওয়া যায়। বুদ্ধের একটি কথা প্রচলিত আছে, তিনি বলিয়াছিলেন, যত দিন গণতন্ত্রের
পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/2/26/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95_%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE_-_%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6_%E0%A6%98%E0%A7%8B%E0%A6%B7_%28%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A7%A8%E0%A7%AB%29.pdf/page30-1024px-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95_%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE_-_%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6_%E0%A6%98%E0%A7%8B%E0%A6%B7_%28%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A7%A8%E0%A7%AB%29.pdf.jpg)