বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ্ট্যালিন

 “এইভাবে পররাষ্ট্রলোভী আক্রমণকারীরা জনমত গঠন করিতেছে। এই স্থূল ধাপ্পাবাজীর চাতুরী বুঝা বেশী কঠিন নহে।’

 “কিন্তু যুদ্ধ বাস্তব ঘটনা। ইহাকে কোন ছলনাতেই আবৃত করা কঠিন। কোন ‘অক্ষ্’ ‘ত্রিভূজ’ বা ‘এণ্টি কমিণ্টার্ণ প্যাক্টই’ এই বাস্তব ঘটনা আবৃত করিতে পারে নাই যে, এই কালের মধ্যে জাপান চীনের বৃহৎ ভূখণ্ড কুক্ষিগত করিয়াছে, ইতালী আবিসিনিয়া দখল করিয়াছে, জার্ম্মানী অস্ট্রিয়া ও সুদেতানল্যাণ্ড গ্রাস করিয়াছে এবং জার্ম্মানী ও ইতালী একযোগে স্পেনের উপর অধিপত্য বিস্তার করিয়াছে এবং ইহা অনাক্রমণশীল রাষ্ট্রগুলির স্বার্থকে উপেক্ষা করিয়াই করা হইয়াছে। যুদ্ধ যুদ্ধই আছে, পররাষ্ট্রগ্রাসী মিলিটারী ব্লক ঠিকই আছে এবং সাম্রাজ্যলোভীর সাম্রাজ্যলোভীই রহিয়াছে। এই অভিনব সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের একটা প্রধান লক্ষ্য করিবার বিষয় এই যে ইহা এখনও সমস্ত জগতে ছড়াইয়া পড়ে নাই। পররাষ্ট্রলোভী রাষ্ট্রগুলি পদে পদে ইংলণ্ড, ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি রাষ্ট্রের স্বার্থ হানি করিতেছে, কিন্তু ইহারা ক্রমাগত পিছু হটিয়া আক্রমণকারীদের সুবিধার পর সুবিধা দিতেছে। জগত ভাগাভাগি করিয়া লইবার এই চেষ্টায় বাধা ত দেওয়া হইতেছেই না, বরং একটা প্রশ্রয়ের ভাব দেখা যাইতেছে।

 “অবিশ্বাস্য, কিন্তু সত্য। নূতন সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের এই বিস্ময়কর একতরফা ব্যাপারের আমরা কি কারণ নির্দ্দেশ করিতে পারি? বিপুল সুবিধার অধিকারী এই সকল রাষ্ট্র এত সহজে, কিছুমাত্র বাধা না দিয়া কেন নিজেদের স্থান ছাড়িয়া দিতেছে এবং সন্ধির প্রতিশ্রুতি পালন না করিয়া আক্রমণকারীদিগকে তুষ্ট করিতেছে? ইহা কি নিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির দুর্ব্বলতার পরিচায়ক? নিশ্চয়ই নহে। ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক

১৬০