বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষ্ট্যালিন

রাষ্ট্রগুলি ফাশিষ্ট রাষ্ট্রগুলি অপেক্ষা অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়া নিঃসন্দেহে বহু শক্তিশালী। তথাপি এই রাষ্ট্রগুলি নিয়মিতভাবে কেন আক্রমণকারীদের সুবিধা দিতেছে?

 “দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যাইতে পারে, যে নিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলি যদি যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয় এবং যুদ্ধ সমস্ত পৃথিবীতে ছড়াইয়া পড়ে, তাহা হইলে একটা বিপ্লব ঘটিবার আশঙ্কা আছে। বুর্জ্জোয়া রাজনীতিকেরা জানে যে প্রথম মহাযুদ্ধে একটা বিশাল দেশে বিপ্লব জয়যুক্ত হইয়াছিল। দ্বিতীয় সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে এক বা একাধিক দেশে বিপ্লব বিজয়ী হইতে পারে, তাহাদের এ আশঙ্কা আছে। কিন্তু বর্ত্তমানে ইহাই একমাত্র বা প্রধান কারণ নহে। আসল কথা অধিকাংশ অনাক্রমণশীল রাষ্ট্র বিশেষভাবে ইংলণ্ড ও ফ্রান্স, সমষ্টিগত নিরাপত্তার নীতি এবং আক্রমণকারীদের প্রতিরোধনীতি ত্যাগ করিয়া “নিরপেক্ষ”তার ভূমিতে গিয়া দাঁড়াইয়াছে।

 “সাধারণভাবে বলিতে গেলে নিরপেক্ষতার ব্যাখ্যা এইরূপ দাঁড়ায়— “প্রত্যেক দেশ সাধ্যমত আক্রমণ হইতে আত্মরক্ষা করুক——উহা আমাদের কিছুই নহে। আমরা আক্রমণকারী ও আক্রান্ত দুই পক্ষের সহিত বাণিজ্য করিব।” কিন্তু কার্য্যতঃ এই নিরপেক্ষতার নীতি, আক্রমণকারীদের পরোক্ষভাবে উৎসাহদান, যুদ্ধের পথ মুক্ত করিয়া দেওয়া, যাহার ফলে এই যুদ্ধ পৃথিবীব্যাপী যুদ্ধে পরিণত হইবে। নিরপেক্ষতার নীতির মধ্যে আমরা দেখিতেছি, আক্রমণকারীদের নিন্দনীয় কাজে বাধা না দিবার আগ্রহ। জাপান চীনে জড়াইয়া পড়ুক, সোভয়েটের সহিত বাধিয়া উঠিলে আরও ভাল হয়, জার্ম্মানী ইউরোপে হুলুস্থুল বাধাইয়া সোভিয়েট ইউনিয়নের সহিত যুদ্ধে জড়াইয়া পড়ুক, আক্রমণকারীরা মহাযুদ্ধের রুধির কর্দ্দমে গভীরভাবে ডুবিয়া যাউক, সুকৌশলে উৎসাহ দিয়া পরস্পরকে দুর্ব্বল ও

১৬১