এই—একদিকে ওরা মুখে ঘুষি চালায়, আর এক দিকে ধোয়ায় পা। মাঝখানে···
মাঝখানে কি?
আইভানোভিচ হঠাৎ দোর গোড়ায় এসে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে বললো, মাঝখানে একদল লোক··· যারা প্রহারকর্তার হাতে চুমু খায়, আর প্রহৃতের রক্ত শোষণ করে।
ইগ্নাতি সসম্ভ্রমে তার দিকে চেয়ে বললো, তাই ঠিক।
চা খেতে ব’সে সে বললো, আমার কাজ ছিল, কাগজ বিলি করা··· হাঁটতে ওস্তাদ ছিলুম কিনা, তাই রাইবিন এই কাজের ভার দিয়েছিল।
আইভানোভিচ জিগ্যেস করলেন, লোকে কি খুব পড়ে?
হাঁ খুব—যারা পারে। এমন-কি অনেক ধনীও পড়ে, তবে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে নয়! আমরা এ ছড়াই জানলেই শ্রীঘর— এ যে তাদের মরণ-ফাঁদ।
মরণ-ফাঁদ কেন?
তা ছাড়া কি? চাষীরা এখন আর জমিদারের তোয়াক্কা না বেখে নিজেরাই জমি বিলি-বন্দোবস্ত করতে শুরু করেছে। ধনীরা কি জমি কামড়ে ব’সে থাকতে পারবে? চাষীরা রক্তের স্রোতে ভাসিয়ে দেবে ধনীদের··· মুনিবও থাকবে না, মজুরও থাকবেনা দুনিয়ায়। এ হাঙ্গামাকে কে ডেকে আনে, বলো?
রাইবিনের গ্রেপ্তার সম্বন্ধে ইস্তাহার-বিলির কথায় ইগ্নাতি সাগ্রহে ব’লে উঠল, আমায় দিন, আমি যাচ্ছি। বনের মধ্যে একটা জায়গায় রেখে সবাইকে বলবো, যাও, ঐখানে গিয়ে নিয়ে এসো। আমিও ধরা পড়বো না, কাজও ফতে হ’বে।
১৮২