—ছয়—
আইভানোভিচ রোজ সময়মত আফিস থেকে ফেরে। সেদিন সে অনেকটা দেরি করে ফিরলো— আর ফিরলো এক গরম খবর নিয়ে,— কোন একজন মজুর-কয়েদী জেল পালিয়েছে, কে তা জানা যায়নি এখনো।
মার প্রাণ যেন আশায় উত্তেজিত হ’য়ে উঠলো, কিন্তু কণ্ঠকে জোর ক’রে সংযত ক’রে বললেন, হয়তো পেভেল।
আইভানোভিচ বললো, খুব সম্ভব। আমি রাস্তায় বেড়াচ্ছিলুম দেখতে পাই কি না—বোকামি আর কাকে বলে! যাক্, আবার বেরুচ্ছি।
মা উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আমিও যাচ্ছি।
হাঁ, তুমি ইয়েগরের কাছে গিয়ে দেখো, সে কিছু জানে কি না।
মা বেশ জোর পায় ইয়েগরের বাড়িতে এসে উপস্থিত হলেন। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে যাচ্ছেন, হঠাৎ দুয়োরের দিকে চেয়ে চোখ তাঁর বিস্ফারিত হল···নিকোলাই না? ঐ তো গেটের কাছে পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে! কিন্তু···না, কেউ তো নেই? তবে কি চোখের ধাঁধা! সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে আবার থমকে দাড়ালেন···মৃদু সন্তর্পিত পদশব্দ··· কিন্তু আবার নিচে চেয়েই মা চীৎকার করে উঠলেন, নিকোলাই, নিকোলাই,—তারপরই ছুটলেন তার দিকে। নিকোলাই হাত নেড়ে অনুচ্চ কণ্ঠে বললো, যাও, যাও,—
মা যেমন নেবেছিলেন, তেমনি উঠে গিয়ে ইয়েগরের ঘরে ঢুকে ফিস্ফাস করে বললেন, জেল পালিয়েছে নিকোলাই।
১৫০