ইয়েগর হেসে বললো, তোফা। কিন্তু উঠে সম্বর্ধনা করবো এমন শক্তি তো আমার নেই।
বলতে না বলতে পলাতক নিজেই ঘরে এসে ঢুকে দোর বন্ধ করে হাসি মুখে দাঁড়ালো। ইয়েগর বললো, বস ভাই। নিকোলাই নিঃশব্দে হাসিমুখে মার দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁর হাত চেপে ধরে বললো, ভাগ্যিস তোমায় দেখলুম, মা। নইলে জেলেই আবার ফিরতুম। শহরের কাউকে আমি চিনিনে; তাই খালি ভাবছিলুম, কেন পালালুম? এমন সময় তোমার সঙ্গে দেখা।
কেমন করে পালালে?
সোফার একপাশে বসে ইয়েগরের হাতে হাত দিয়ে নিকোলাই তার পলায়নকাহিনী ব্যক্ত করে গেলো। ওভারশিয়ারদের ধরে কয়েদীরা ঠ্যাঙাতে শুরু করে···পাগলা-ঘণ্টি বেজে ওঠে···গেট খুলে যায় এই ফাঁকে সে পালায়···তারপর ছন্নছাড়া হ’য়ে ঘুরে বেড়ায় একটা লুকোবার স্থান আবিষ্কার করার জন্য!
পেভেল কেমন আছে?
ভালোই আছে। আমাদের একজন মাতব্বর সে···কর্তাদের সঙ্গে বাদানুবাদ করে···আর সবাই তাকে মানে।···কি খাবো? ভবানক ক্ষুধা পেয়েছে।
ইয়েগর বললো, সেলফের ওপর রুটি আছে, ওকে দাও। তারপর বাঁ পাশের ঘরটায় গিয়ে লিউদ্মিলাকে ডেকে বল, খাবার নিয়ে আসুক। মা গিয়ে ডাকতেই লিউদ্মিলা বেরিয়ে এসে জিগ্যেস করলো, কি? অবস্থা খারাপ নাকি?
না, খাবার চাইছে।
১৫১