দিদিমা, কিন্তু এমনিধারা জীবন পাঁচ বছরের মধ্যেই তাকে কবরশায়ী, করেছে···
এক চুমুকে চায়ের কাপ নিঃশেষ ক’রে সে তার দীর্ঘ কারা-জীবন এবং নির্বাসনকাহিনী সংক্ষেপে বর্ণনা করে গেলো।
মা নিঃশব্দে সব শুনলেন। তারপর ন্যস্ত কাজ সুসম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুত হতে লাগলেন।
—এগারো—
পরদিন দুপুরে আবার খাবার নিয়ে মা কারখানার দুয়ারে এসে হাজির হলেন। আজ ভারি কড়া পাহারা। জামার পকেট থেকে শুরু ক’রে মাথার চুল পর্যন্ত খুঁজে তবে এক-একজন লোককে ঢুকতে দেওয়া হয়। মা এগিয়ে বললেন, একবারটি ঢুকতে দাওনা, বাবা! বড্ড ভারি, আর বইতে পারিনে, পিঠ দু’ভাগ হয়ে যাচ্ছে।
যা যা বুড়ি, ভেতরে যা···দেখোনা, উনিও আসেন যুক্তি-তর্ক দিয়ে বোঝাতে!
মা ঢুকে পড়লেন। তারপর যথাস্থানে খাবারের পাত্র দুটো নাবিয়ে রেখে ঘাম মুছে ফেলে চারদিকে চাইলেন। গুসেভ ভ্রাতৃদ্বয় কারখানায় কামারের কাজ করে— তারা তৎক্ষণাৎ কাছে এসে দাঁড়ালো। বড়ো ভাই ভ্যাসিলি ইঙ্গিতপূর্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে প্রশ্ন করলো, পিরগ পেলে?
হাঁ, কাল আনবো।
এই ছিল নির্ধারিত গুপ্ত-সংকেত। দু’ভায়ের মুখ উজ্জ্বল হ’য়ে
৬৭