হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প
তোর বিয়ে দেব। সেই রাখাল সিংগির মেয়ে নেড়ী, ছোটবেলায় তাকে দেখেছিলি, মনে আছে তো?
কার্তিক মুখ ভার করিয়া বলিল ‘নেড়ী-টড়ীকে আমি বিয়ে ক’রব না।’
চরণ ঘোষ আবার খেপিয়া উঠিয়া বলিলেন ‘করবি না কি রকম? তোর ঘাড় ধ’রে বিয়ে দেব, অবাধ্য ইষ্টুপিড!’
চাটুজ্যে। আ হা হা, কর কি চরণ, তোমার কিছু আক্কেল নেই? এই কি বিয়ের কথা বলবার সময়, না জায়গা? যাও, তুমি আর মিছে দেরি ক’রো না, ন-টার ট্রেন এখনও পাবে। কাত্তিক আজ বাঁটলোদের বাড়িতে থাকবে। বাবা কাত্তিক, তোমার সঙ্গে দুটো কথা আছে।
চরণ ঘোষ গজগজ করিতে করিতে প্রস্থান করিলেন কার্তিক ও তাহার তিন বন্ধুর সঙ্গে চাটুজ্যে মহাশয় রাস্তায় আসিলেন।
ঘনেন বলিল ‘এ অপমান কখনই সহ্য করা যায় না, আমরা বানের জলে ভেসে এসেছি নাকি? কাত্তিক, তোর বাপকে এক্ষুনি উকিলের চিঠি দে, পাঁচ-শ টাকার ড্যামেজ। মকদ্দমায় আমরা সাক্ষী হব।’
গোপাল। বাপের নামে নালিশ দেখায় খারাপ, হাজার
৯৪