পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৬৫
বেতালপঞ্চবিংশতি
৬৫

রাজ্ঞী ঈষৎ হাসিয়া অনুমোদন প্রদর্শন করিলে রাজা পরম সমাদরে শুক শারিকার বিবাহ নির্বাহ করিয়া উভয়কে এক পিঞ্জরে স্থাপিত করিলেন।

এক দিবস রাজা নির্জনে রাজমহিষীর সহিত রসপ্রসঙ্গে কালযাপন করিতেছেন এই সময়ে শুক শারিকাকে কহিতে লাগিল দেখ এই অসার সংসার মধ্যে ভোগ অতি সার পদার্থ। যে ব্যক্তি এই জগতে জন্মগ্রহণ করিয়া ভোগসুখে পরাঙ্মুখ থাকে তাহার বৃথা জন্ম। অতএব কি নিমিত্ত তুমি ভোগবিষয়ে নিরুৎসাহিনী হইতেছ। শারিকা কহিল পুরুষজাতি অত্যন্ত শঠ অধর্ম্মী ও স্ত্রীহত্যাকারী এজন্য পুরুষসংসর্গে আমার রুচি হয় না। শুক কহিল নারীও অতিশয় শঠ চপলা মিথ্যাবাদিনী ও পুরুষঘাতিনী। উভয়ের এইরূপ বিবাদারম্ভ দেখিয়া রাজা জিজ্ঞাসা করিলেন হে শুক হে শারিকে কেন তোমরা অকারণে কলহ করিতেছ। তখন শারিকা কহিল মহারাজ পুরুষ বড় অধর্ম্মী এই নিমিত্তে পুরুষজাতির প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও অনুরাগ নাই। আমি পুরুষের ব্যবহার ও চরিত্র বিষয়ে এক উপাখ্যান কহিতেছি শ্ররণ করুন।

ইলাপুরে মহাধন নামে অতি ঐশ্বর্য্যশালী শ্রেষ্ঠী ছিলেন। বহু কাল অতীত হইল তথাপি তাঁহার পুত্ত্র হয় না এ