পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবকাশরঞ্জিনী । ভাসিয়া ভাসিয়া সেই প্রণয়-প্লাবনে আসিলাম মিশরেতে, প্লাবন-প্রবাহ সখি ! মিশিল সাগরে ৷ স্বজনি । তখন সকলি অনন্ত ! হায়, অনন্ত প্রেমের অনন্ত লহরী-লীলা ! অনস্ত আমোদ বিরাজিত নিরস্তুর অধরে, নয়নে । অনন্ত, অতৃপ্ত মুখ যুগল-হৃদয়ে ! ভাবিলাম মনে,-প্রেম, সুখ, রাজ্য, ধন, প্রেমিক-জীবন, হায় । অনন্ত সকল ! যে, কাম-সরসী, সখি ! করিমু নিৰ্ম্মণ, যত পান করি, বাড়ে প্রণয়-পিপাসা ;– অনন্ত পিপাসাতুর নায়ক আমার ! ঢালিয়া দিলাম তাহে জীবন যৌবন মম, ঝাপ দিল রাজহংস উন্মত্তের প্রায়,—মদন-বিহবল ! সেই সরোবরে কন্তু মৃণালিনী আমি, সখা মধুকর ; আমি মরালিনী, সখা মরাল সুন্দর । কখন মৃণাল আমি অদৃশু সলিলে, সখী মদমত্ত করী , সন্সিলের তলে কতু আমি মীনেশ্বরী, সখা মীনপতি ;— অধিপতি ক্লিওপেট্রা কাম-সরসীর ! এই রূপে, এই সুখে, গেল দিন, গেল মাস, চলিল বৎসর, বিজলি-কলকে,— অনঙ্গ-বিলাসে, স্বরা, সঙ্গীত-বিহবল ৷ “এক দিন নিজ কক্ষে বসিয়াছি।আমি, মদালসে ! প্লথ দেহ, নিশি-জাগরণে,