আজাদী সৈনিকের ডায়েরী/কোহিমা অবরোধ
৭ই এপ্রিল ১৯৪৪:
আমরা কোহিমা শহরটি চারিদিকে ঘিরিয়া ফেলিয়াছি। এবার যুদ্ধ হইতেছে শহর দখলের জন্য। আমাদের আক্রমণকারী সেনাদলের উপর কামান দাগিতেছে। জাপানী সেনারা আমাদের সহিত সহযোগিতা করিতেছে।
আমাদের এরোপ্লেন হইতে কোহিমার উপর বোমা ফেলা হইল।
আমাদের একদল গিয়াছে জি-টি পাহাড়ের দিকে। এই পাহাড় হইতে কোহিমা শহরে জল সরবরাহ হয়। পানীয় জল বন্ধ হইলে শহরের পতনে দেরী হইবে না।
যুদ্ধ জোর চলিয়াছে। এই যুদ্ধে জয়-পরাজয়ের উপর আমাদের ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করিতেছে।
নাগা পাহাড় নিবিড় অরণ্য ও পর্ব্বতসঙ্কুল। এইরূপ স্থানে ট্যাঙ্ক ও আর্মার্ড্ কার চালানো চলে না। এরোপ্লেনের অবতরণের স্থানের অভাব। অরণ্যাচ্ছদিত পর্ব্বতের উপর এরোপ্লেন হইতে বোমা ফেলিয়া বিশেষ কিছু করা যায় না। অধুরিক যুদ্ধ এখানে অসম্ভব। অসুবিধা অবশ্য উভয়পক্ষেরই।
১০ই এপ্রিল ১৯৪৪: কোহিমা:
আজ আমরা অজস্র গোলা বর্ষণ ও গ্রেনেড্ বোমা বিস্ফোরণের মধ্যে কোহিমা শহরে প্রবেশ করিয়াছি। কোহিমার ডেপুটি কমিশনারের বাংলো আমাদের অধিকারে। কিন্তু শহরটি এখনো সম্পূর্ণ দখল হয় নাই।
১২ই এপ্রিল ১৯৪৪:
আজ সুখবর আছে। জি, টি পাহাড়ের জল সরবরাহের ব্যবস্থা আমাদের হাতে আসিয়াছে।