বিষয়বস্তুতে চলুন

গল্পের বই/পাঁশ কুড়ানী

উইকিসংকলন থেকে

পাঁশ কুড়ানী।

 পাঁশ কুড়ানী একটি ছােট্ট মেয়ে, রান্না ঘরের ছাই ফেলে বলে তাকে ‘পাঁশকুড়ানী’ ব’লে ডাকে। পাঁশকুড়ানীর দুইসৎ বােন আছে, তারা তাকে ভারী কষ্ট দেয়। নিজেরা কত ভাল খাবার খায়, আর তাকে খেতে দেয় ভাতের ফেন। নিজেরা কত ভাল ভাল কাপড় পরে; তাকে পরিয়ে রাখে ছেঁড়া কাপড়। তাকে দিয়ে বাড়ীর সব কাজ করায়, রান্না ঘরের ছাই ফেলায়, আর রাত্রে শুতে দেয় কয়লার উপরে। তাই পাঁশকুড়ানীর ছেঁড়া কাপড়পানি সব সময়ই ময়লা থাকে। সে কিন্তু বড় লক্ষ্মী মেয়ে, কখনও কারাের সঙ্গে ঝগড়া করে না। একবার সে দেশের রাজার বাড়ী মস্ত ভােজ হ’ল। তিন দিন ধরে রাজা দেশের সব বড় বড় লােকদের খাওয়াবেন, তাদের নিয়ে আমােদ কর্‌বেন। পাঁশকুড়ানীর বােনেরা সেই ভােজে যাবে। সকাল থেকে তারা শুধু ভাব্‌ছে কোন শাড়ী খানা পর্‌বে, কি কি গহনা পর্‌বে, কেমন করে চুল বাঁধ্‌বে, এই সব। বিকাল হ’তে না হ’তে সাজগােজ কর্‌বার ধুম পড়ে গেল।

 তাই দেখে পাঁশকুড়ানী এসে জিজ্ঞাসা কর্‌ল, “তােমরা কোথায় যাবে?” বােনেরা বল্‌ল, “জানিস্‌ না, রাজার বাড়ী নেমন্তন্ন!” শুনে পাঁশকুড়ানী বল্‌ল, “আমাকে নিয়ে যাবে না?” বােনেরা মুখ শিঁট্‌কিয়ে বল্‌ল, “তুই যাবি কি করতে? তাের না আছে ভাল
পরী আর পাঁশকুড়ানী
কাপড়, না আছে চল্‌বার ফির্‌বার ছিরি! সেখানে গেলে যে তােকে দেখে হাস্‌বে।”

 ভাল কাপড় চোপড় পরে, ভাল গাড়ীতে চড়ে, বাড়ীর সকলে নেমন্তন্ন খেতে গেল, পাঁশকুড়ানী বেচারী একলা একলা রান্না ঘরে বসে কাঁদতে লাগ্‌ল। এমন সময় সে শুনতে পেল, কে যেন তাকে ডাক্‌ছে “তুমি কে গাে, কাঁদ্‌ছ কেন গাে?” চেয়ে দেখে একটি ছােট্ট পরী, তার রূপােলী ডানা দুটি মেলে, হাতে সােণার লাঠি নিয়ে তার কাছে এসেছে। পরী আবার জিজ্ঞাসা কর্‌ল, “তুমি কাঁদছ কেন বাছা?” তখন পাঁশকুড়ানী বল্‌ল, “আমাকে ওরা খালি ‘দূর দূর’ করে, ভাল করে খেতে পর্‌তে দেয় না, আমার নেমন্তন্নে যেতে বড় ইচ্ছা কর্‌ছিল, তবু আমাকে নিয়ে যায় নি;—তাই আমি কাঁদছি।”

 পরী বল্‌ল, “তুমি বড় লক্ষ্মী মেয়ে, তােমার উপর বড় খুসী হয়েছি। আচ্ছা, এক কাজ করত। বাগান থেকে একটা কুমড়াে নিয়ে এস।” পাঁশকুড়ানী তখনি ছুটে গিয়ে বাগান থেকে একটা কুম্‌ড়ো নিয়ে এল। সেই কুম্‌ড়ােটাকে পরী তার লাঠি দিয়ে ছুঁয়ে দিতেই কুম্‌ড়ােটা চমৎকার একখানা গাড়ী হয়ে গেল। পরী বল্‌ল, “গাড়ী হয়েছে এখন ঘােড়া চাই। দুটো ইঁদুর ধ’রে আন্‌তে পার?”

 পাঁশকুড়ানী জান্‌ত, কোথায় সেই অন্ধকার ঘরে হাঁড়ির পিছনে মেলাই ইঁদুর থাকে। সেইখান থেকে সে ছয়টা বড় বড় ইদুর ধরে নিয়ে এল। সেই ইদুর গুলােকে পরী তার লাঠি দিয়ে ছোঁয়া মাত্রই তারা ঝক্‌ঝকে সাজ পরা এই বড় বড় ছ’টা ঘোড়া হয়ে তড়াক্‌ তড়াক্‌ করে লাফাতে লাগ্‌ল।

 তা, দেখে পরী হেসে বল্ল, “গাড়ী হয়েছে, ঘোড়া হয়েছে, এখন সইস্‌ কোচয়ান হলেই হয়। আচ্ছা, দুটো টিকটিকি ধরে আন।”

 পাঁশকুড়ানী দুটো টিকটিকি খুঁজে আন্‌ল। সে দুটোকে যেই পরী তার লাঠি দিয়ে ছুঁয়েছে, অমনি তার একটা সইস্‌ আর একটা কোচয়ান হয়ে গিয়েছে। তারা দুজন উঠেই অমনি ঘোড়, ছয়টাকে গাড়ীতে জুতে ফেলেছে।

 এ সব দেখে শুনে ত পাঁশকুড়ানীর মুখ দিয়ে আর কথা বেরুচ্ছেনা সে এমনি আশ্চর্য্য হয়ে গিয়েছে! সব কাজ শেষ করে পরী তাকে বল্‌ল, “এইবার তুমি এই গাড়ী চড়ে রাজার বাড়ী নেমন্তন্ন খেতে যাও।” সে বল্‌ল, “কিন্তু আমার এই ময়লা কাপড় নিয়ে কি করে যাব?” পরী তখন সোণার লাঠি দিয়ে তার কাপড় ছুঁয়ে দিল, আর সেই ছেঁড়া ময়লা কাপড় দেখ্‌তে দেখ্‌তে ঝকঝকে রেশমী কাপড় হয়ে গেল; পাঁশকুড়ানীর গা ভ’রে হীরা মতীর গহনা হ’ল আর তার পায়ে চমৎকার মাণিকের মল হ’ল। তখন সেই ছয় ঘোড়ার গাড়ীতে চড়ে পাঁশকুড়ানী নেমন্তন্ন খেতে গেল। যাবার সময় পরী তাকে বলে দিল, “দেখো। সাবধান! রাত বারটাব বেশী ওখানে থেকোনা। রাত বারটা বাজ্‌তেই কিন্তু এই সব কাপড় গহনা, গাড়ী ঘোড়া সব চলে। যাবে, আর তোমার ছেঁড়া কাপড় ফিরে অসাবে।”

 পাঁশকুড়ানী যখন রাজার বাড়ীতে গেল তখন তাকে দেখে সকলে ভাব্‌ল, “ছয় ঘোড়ার গাড়ী চড়ে না জানি এ কোন রাজার মেয়ে এসেছে! কি সুন্দর পোষাক, আর কি সুন্দর দেখ্‌তে! আর গাড়ী ঘোড়াই বা কি সুন্দর!” সত্যি সত্যিই পাঁশকুড়ানীকে এত সুন্দর দেখাচ্ছিল যে তার সৎ বোনেরা ও তাকে দেখে চিন্‌তে পারেনি। রাজার ছেলে ভাব্‌লেন, “এমন চমৎকার মেয়ে কখন দেখিনি।” যতক্ষণ পাঁশকুড়ানী সেখানে রইল, ততক্ষণ তিনি কেবল তার সঙ্গেই গল্প করলেন।

 বারটা বাজ্‌তেই পাঁশকুড়ানী তাড়াতাড়ি সেখান থেকে বাড়ী চলে এল। তখন তার গাড়ী ঘোড়াও নেই, সে পোষাকও নেই। যে ছেঁড়া কাপড় সেই ছেঁড়া কাপড়।

 তারপর সৎ বোনেরা রাজ বাড়ী থেকে ফিরে এসে তার কাছে কত গল্পই কর্‌ল! তারা বল্ল “আমরা কেমন রাজার বাড়ী নেমন্তন্ন খেয়ে এলাম। তুই যেতে পার্‌লি না। সে কি চমৎকার বাড়ী, কত লোকজন! আর, এক রাজার মেয়ে যে এসেছিল, তেমন কেউ দেখেনি! তার ছয় ঘোড়ার গাড়ী, কি চমৎকার পোষাক, কি চমৎকার দেখ্‌তে!” শুনে পাঁশকুড়ানী। বুঝ্‌তে পারল যে তারা তার কথাই বল্‌ছে। সে মনে মনে খুব খুসী হল, কিন্তু কিছু বল্ল না।

 পরদিন আবার তারা পোষাক প’রে, গাড়ী চড়ে নেমন্তন্ন খেতে গেল, পাঁশকুড়ানীকে নিয়ে গেল না। সে দিনও আবার সেই পরী এসে তাকে গাড়ী ঘোড়া কাপড় চোপড় দিয়ে রাজার বাড়ী পাঠিয়ে দিল। সে দিনকার পােষাক আগের দিনের চেয়ে ও সুন্দর। শাড়ীখানা রূপােলী, আর গহনা আরাে ঢের দামী, আর পায়ে সেই চমৎকার মাণিকের মল। রাজার বাড়ীতে সকলে তাকে দেখে অবাক। রাজার ছেলে আর কারাের দিকে চেয়েও দেখ্‌লেন না, কেবল তারই সঙ্গে গল্প কর্‌লেন। কিন্তু যেই বারটা বাজল অমনি সে যে কোথায় চলে গেল কেউ দেখতে পেল না। পাঁশকুড়ানী ততক্ষণে বাড়ী এসে, তার ছেঁড়া কাপড় পরে বসে আছে।

 সে দিনও তার সৎবােনের বাড়ী এসে খুবই গল্প কর্‌ল, “আজকে সেই রাজার মেয়েকে যে কি সুন্দর দেখাচ্ছিল কি বল্‌ব! তার শাড়ীখানার আগাগােড়াই রূপােলী, ঝক্‌ঝক্ করছে; আর তার পা দুখানা কি সুন্দর, এমন ছােট্ট পা কখনাে দেখিনি।”

 তার পরদিন আবার নেমন্তন্ন। সে দিন শেষ দিন। যার যত ভাল কাপড়, ভাল গহনা আছে, বেছে বেছে পরেছে। সেদিন ও পাঁশকুড়ানীর সৎবােনেরা সেজেগুজে গাড়ী চড়ে রাজবাড়ী। গেল, পাঁশকুড়ানীকে নিয়ে গেল না।

 কিন্তু সেই পরী তাকে ভােলেনি। সকলে চলে যেতেই পরী আবার এসে দেখা দিল। পাঁশকুড়ানীর আজকের পােষাক যারপর নাই আশ্চর্য্য! সােণার শাড়ী, তাতে মণি মুক্তোর কাজ; গায়ের গহণা, মাথার মুকুট, এমনি চমৎকার যে দেখলে মনে হয় যেন জ্বলছে।

 আজ তাকে দেখে সকলে ভাব্‌ল, “এ কে? মানুষ, না পরী?” রাজা রাণী ভাব্‌লেন, “এমন সুন্দর মেয়েকে আমাদের বৌ কর্‌লে তবে ঠিক হয়।” রাজার ছেলে ভাব্‌লেন, “আমি একে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করব না।” আজকে শেষ দিন, সকলে খুব আমোদ কর্‌ছে। পাঁশকুড়ানী ও সকলের সঙ্গে গল্প কর্‌ছে, হাস্‌ছে, কত রাত হয়েছে, তা তার খেয়ালই নেই। হঠাৎ ঘড়ীতে টং টং করে বারটা বেজে উঠ্‌ল! তখন তার মনে হল, ঐ যা, কি করলাম! পরী ত আমাকে বারটার বেশী এখানে থাক্‌তে মানা করেছে!” অমনি কাউকে কিছু না বলে, কারোর কথা না শুনে সে একেবারে দৌড়ে বাইরে এল। রাজার ছেলেও তার পিছু পিছু ছুটে বাইরে এলেন, কিন্তু সে যে কোনদিকে পালিয়ে গেল কিছু বুঝতে পার্‌লেন না, কেবল দেখ্‌লেন সিঁড়ীর উপর এক গাছি ছোট্ট মল প’ড়ে আছে। পাঁশকুড়ানী দৌড়ে যাবার সময় কেমন করে তার পা থেকে সেই মল খুলে পড়ে গিয়েছিল। মজার ছেলে মল গাছি তুলে নিলেন, দেখ্‌লেন তা’তে আশ্চর্য্য কাজ করা, সে রকম কাজ সে দেশের কোন সেক্‌রা কর্‌তে পারে না।

 রাজার বাড়ীর দরজা পার হতে না হতেই পাঁশকুড়ানীর সে সোণার পোষাক, ছেঁড়া ময়লা কাপড় হয়ে গেল। দরজায় এসে দেখে তার গাড়ীও নেই ঘোড়াও নেই, কিছুই নেই। কাজেই তাকে হেঁটে বাড়ী যেতে হ’ল।

 রাজার ছেলে সব পাহারাওয়ালাদের জিজ্ঞাসা কর্‌লেন, “এখান দিয়ে কোন রাজার মেয়ে গিয়েছেন? তোমরা কাউকে বাইরে যেতে দেখেছ?” তারা বল্‌ল, “না, কাউকে ত দেখিনি। কেবল এক ভিখিরী মেয়ে যাচ্ছিল; আমরা তাকে ধর্‌তে গেলাম, সে ছুটে পালিয়ে গেল।”

 রাজার ছেলে জেদ্ করে বস্‌লেন, সেই মেয়ে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে কর্‌বেন না। কিন্তু সে মেয়ে পালিয়েছে, এখন তাকে পাবেন কোথায়? সে কার মেয়ে, তার বাড়ী কোনখানে তা কেউ বল্‌তে পারে না। এখন উপায়? তখন, যে মল কুড়িয়ে পেয়েছিলেন, সেই মলের কথা হটাৎ তাঁর মনে হ’ল। তিনি বল্‌লেন, “এই মল যার পায় হবে, তাকেই আমি বিয়ে কর্‌ব। এত ছোট মল কখনো যে সে মেয়ের পায় হবে না।”

 তখন রাজার লোক মল নিয়ে সকলের বাড়ী বাড়ী ফির্‌তে লাগ্‌ল। এমন মেয়ে কার বাড়ীতে আছে, সেই মল যার পায় ঢোকে? যার বাড়ীতেই মেয়ে আছে, সে মেয়েরা এসে মল পর্‌তে কতই না চেষ্টা করল। কিন্তু সে মল কারোর পায়ে ঢুক্‌ল না। ঘুরে ঘুরে রাজার লোক পাঁশকুড়ানীদের বাড়ী এল। পাঁশকুড়ানীর সৎবোনেরা সেই মল নিয়ে কত টানাটানি কর্‌ল, তাদের মোটা মোটা পা ফেটে রক্ত পড়্‌তে লাগ্‌ল, কিন্তু কিছুতেই মল পায়ে ঢুক্‌ল না! পাঁশকুড়ানী তামাসা দেখ্‌বার জন্য সেখানে এসে দাঁড়িয়েছে। রাজার লোকেরা তাকে বল্‌ল, “তুমি একবার পরে দেখত। তোমার পা খুব ছোট দেখাচ্ছে।” অমনি পাঁশকুড়ানীর সৎ বোনেরা ব্যস্ত হয়ে দুজনে একসঙ্গে বলে উঠ্‌ল, “ওর পায়ে কখ্‌খন হবে না। ও সেদিন যায় ও নি। আর ও যে পাঁশকুড়ানী!” রাজার লােক বল্‌ল, “রাজার হুকুম, সকলে পায়ে দিয়ে দেখবে!” তখন পাঁশকুড়ানী আস্তে আস্তে মলখানি নিয়ে যেই পায়ে দিল, অমনি ফস্ করে মল ঢুকে গেল। তারপর সেই পরী এসে আরেক গাছা মল পাঁশকুড়ানীর অন্য পায়ে পরিয়ে দিল, আর সােণার লাঠি ছুঁইয়ে তার সােণার কাপড়, হীরের গহনা করে দিল।

 রাজার লােকেরা হাস্‌তে হাস্‌তে নাচ্‌তে নাচ্‌তে ছুটে গিয়ে রাজ বাড়ীতে খবর দিল। সেই খবর শুনে ত রাজার ছেলের আর সুখের সীমাই রইল না।

 তারপর রাজার ছেলের সঙ্গে পাঁশকুড়ানীর বিয়ে হ’ল। আর তাতে কি ধূমধামটাই হ’ল। পাশকুড়ানীর সৎ বােনেরা খুব সাজগােজ করে সেই বিয়ে দেখ্‌তে গেল, আর পেট ভরে নেমন্তন্ন খেল।

 তারপর আর কেউ তাকে ‘পাঁশকুড়ানী’ বলে ডাক্‌ত না।


দুখি।

 এক গরীব লোকের একটি সুন্দর ছেলে হয়েছে। গণক এসে গুণে বল্‌ল,—এই ছেলের কপাল বড় ভাল, কোন দিন এর কোন মন্দ হবেনা, আর চৌদ্দ বৎসর বয়সের সময় রাজার মেয়ের সঙ্গে এর বিয়ে হবে।

 সে দেশের রাজা এ কথা শুন্‌তে পেয়ে ভাবলেন, “কি, এমন একটা গরীব লোকের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হবে! তা কখনও হ’তে দেব না।” এই মনে করে তিনি তাঁর রাজার পোষাক ছেড়ে সওদাগরের মত পোষাক পর্‌লেন। তারপর লুকিয়ে সেই গরীব লোকের বাড়ী গিয়ে তাকে বল্‌লেন, “তোমার ছেলেকে আমার কাছে বিক্রী কর্‌বে?” সে কেন তাতে রাজি হবে? সে বলল, “না, আমি বিক্রী কর্‌ব না।” তখন রাজা তাদের অনেক ক’রে বোঝালেন, “দেখ, তোমরা গরীব মানুষ। ছেলেকে ভাল করে খেতে পর্‌তে দিতে পার্‌বেনা, তার কত কষ্ট হবে। আমার অনেক টাকা আছে। আমার কাছে থাক্‌লে তার কোন কষ্ট হবে না, আর আমি তাকে খুব যত্ন কর্‌ব।”। তখন ছেলের বাপ মা ভাব্‌ল, “গণক ত বলেইছে কেউ এর কোন মন্দ কর্‌তে পারবেনা। যদি এই লোকটির কাছে বিক্রী কর্‌লে ছেলে সুখে থাক্‌তে পারে তবে বিক্রীই করিনা কেন।” এই মনে করে তারা রাজার কাছে ছেলেটিকে বিক্রী কর্‌ল। রাজা সেই ছেলেটিকে নিয়ে একটা হাঁড়ির মধ্যে বন্ধ করে নদীর জলে ভাসিয়ে দিলেন।

 সেই নদীতে এক জেলে জাল ফেলেছিল। ভাস্‌তে