চিঠিপত্র (দশম খণ্ড, ১৯৬৭)/দীনেশচন্দ্র সেনকে লিখিত/৩৯
অবয়ব
(পৃ. ৪১-৪২)
৩৯
[নভেম্বর ১৯০৮]
ওঁ
বোলপুর
প্রিয়বরেষু
আপনার প্রেরিত চেকটি অনাবৃষ্টির কালে মেঘোদয়ের মত দেখা দিয়েছে— ওকে শীঘ্র ভাঙিয়ে নিয়ে বর্ষণে পরিণত করবার ব্যবস্থা করা যাবে। আপনি এই দুঃখ স্বীকার করে আমাদের কতটা দুঃখ লাঘব করেছেন তা জানলে আপনি পুণ্যকর্ম্মসাধনের আত্মপ্রসাদ অনুভব করতেন। আমার পিতা সংস্কৃত ব্যাকরণ রচনা করেছিলেন সে সংবাদ আপনার কাছে এই প্রথম পাওয়া গেল। এই বইখানি সন্ধান করতে হবে। আপনি গগনদেরও একবার জিজ্ঞাসা করে দেখবেন। আমার পিতার সমস্ত রচনা ছাপাবার যে প্রস্তাব করেচেন সেটা আলোচনা করে দেখব। এবার কলকাতায় গিয়ে সে সম্বন্ধে সন্ধান করা যাবে।আশু মুখুজ্জে মশায়কে প্রাচীন বাংলা গদ্যপ্রকাশ সম্বন্ধে অনুরোধ জানিয়ে পত্র লিখে পাঠাব।
আপনার নূতন রচনাটির জন্য আমরা উন্মুখ হয়ে আছি। আপনি Y, M, C, A,তে কি এরই কোনো অধ্যায় সম্প্রতি পাঠ করেচেন?
অরুণকে আমার আশীর্ব্বাদ জানাবেন। ইতি ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৩১৫
ভবদীয়
শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর